গেল কয়েকদিন ধরে অবরুদ্ধ গাজার বিভিন্ন প্রান্তে বর্বরোচিত হামলার পর এবার গাজা উপত্যকার শরণার্থী শিবিরগুলোতে নির্বিচারে তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসের শরণার্থী শিবিরগুলোতে রাতভর বিমান হামলায় নতুন করে বেশ কয়েকজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রাণভয়ে খান ইউনিস থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন শরণার্থীরা।
এরমধ্যেই, গাজার যুদ্ধবিরতি কার্যকরে হামাস ও ইসরাইলের প্রতি আরও একবার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
গাজায় সহিংসতার মধ্যে ত্রিমুখী যুদ্ধের উত্তেজনায় ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে। লেবানন সীমান্তেও চলছে হিজবুল্লাহ আর ইসরাইলের সংঘাত। ইরান যেন ইসরাইলে হামলা না চালায়, এজন্য ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। ৩০ মিনিটের এক ফোনালাপে ইরানকে বলা হয়, হামলার পদক্ষেপ না নিয়ে পিছিয়ে যেতে। যদিও, ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলছে, শত্রুপক্ষের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে যেকোন ধরনের হামলা প্রতিহতের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে তেল আবিব।
এই যখন অবস্থা তখন, যুক্তরাষ্ট্র বলছে, চলতি সপ্তাহেই ইসরাইলে হামলা চালাতে পারে ইরান। হোয়াইট হাউজ বলছে, প্রস্তুতি নিয়ে কয়েক দফা এ হামলা চালাতে পারে ইরান। হামাস ও ইসরাইলের যুদ্ধবিরতি কার্যকরে পরিকল্পনা অনুযায়ী আলোচনায় বসার আশা প্রকাশ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। যুদ্ধবিরতি কার্যকরে তুরস্কের সহযোগিতা চাইছে ওয়াশিংটন।
এদিকে ইসরাইলকে রক্ষায় মধ্যপ্রাচ্যের জলসীমায় আরও একটি রণতরী মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পূর্ব ভূমধ্যমসাগরে বিমানবাহী রণতরী মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ইউএসএস আব্রাহাম লিঙ্কন, এবং পরমাণু হামলায় সক্ষম সাবমেরিন ইউএসএস জর্জিয়া মোতায়েন করা হয়েছে ভূমধ্যসাগরে। যদিও সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূতদের মতে, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন উপস্থিতি আরও উস্কে দিতে পারে তেহরানকে।