বিদেশে এখন
0

হামাস-হিজবুল্লাহর ৩ শীর্ষ নেতার হত্যা, প্রতিশোধের প্রস্তুতি ইরানের

ইসমাইল হানিয়া, ফুয়াদ শুকুর ও মোহাম্মাদ দেইফ। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে হামাস ও হিজবুল্লাহ'র ৩ শীর্ষ নেতার হত্যার খবর পেয়েছে বিশ্ববাসী। আহত বাঘের মতো ইরান প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রতিশোধের। যৌথ হামলার বিষয়ে আয়তুল্লাহ খামেনির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের মিত্র গোষ্ঠীদের। এদিকে সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে ইসরাইল।

১ দিনের ব্যবধানে হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া ও হিজবুল্লাহ'র জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ফুয়াদ শুকুরকে হত্যা। এর রেশ কাটতে না কাটতেই খবর মিললো মধ্য জুলাইয়ে ইসরাইলের বিমান হামলায় নিহত হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মাদ দেইফ। ইসরাইল বিরোধী জোটের একের পর এক সদস্যদের হারানোয় কিছুটা কোণঠাসা ইরান। রাজধানী তেহরানের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ভেদ করে রাষ্ট্রীয় অতিথি ইসমাইল হানিয়াকে হত্যায় খামেনি প্রশাসনের ভাগে জুটেছে তীব্র সমালোচনা। শিগগিরিই ইসরাইলে হামলা চালাতে বাড়ছে চাপ।

এমন পরিস্থিতিতে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে ইরানের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে ইসরাইল বিরোধী প্রতিরোধ জোটের মিত্রদের। তালিকায় রয়েছে হামাস, ফিলিস্তিন ইসলামিক জিহাদ, হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী, হিজবুল্লাহ এবং ইরাক ও সিরিয়ার কয়েকটি মিলিশিয়া গোষ্ঠী। মার্কিন গণমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন বলছে, ইসরাইলে সরাসরি হামলার ঘোষণা দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। বৈঠকের সূত্র ধরে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, ইরানের সঙ্গে হামলায় যুক্ত হতে পারে মিত্ররা।

চলতি বছর এপ্রিলের সিরিয়ার রাজধানীতে ইসরাইলের হামলায় নিহত হন আই আর জি সি'র শীর্ষ জেনারেল রেজা জাহেদি। ঘটনার ২ সপ্তাহ পর ইসরাইলের অভ্যন্তরে ৩ শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। যদিও পশ্চিমাদের সহায়তায় ৯৯ শতাংশ আক্রমণই প্রতিহত করে তেল আবিবের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। তাই মিত্রদের সহায়তায় এবার আরো বড় পরিসরে হামলা করা হতে পারে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইসরাইলের গণমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরাইল। সম্ভাব্য টার্গেট, তেল আবিব ও হাইফার মতো বড় শহরগুলো। বাদ থাকবে না বেসামরিক স্থাপনা।

এদিকে সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে নেতানিয়াহু সরকারের নিরাপত্তা দায়িত্ব নিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেত। দেশটির গণমাধ্যম চ্যানেল টুয়েলভের প্রতিবেদন বলছে, আগামী কয়েকদিন শীর্ষ ব্যক্তিদের ভ্রমণ পরিকল্পনা নিয়ন্ত্রণ করবে সংস্থাটি। সুরক্ষিত স্থাপনা থাকা সাপেক্ষে খোলা স্থানে আয়োজন করা যাবে সভা। এছাড়াও ইসরাইলের বাইরে অবস্থানরত কূটনীতিকদের লো প্রোফাইলে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জর্ডানের মতো মিত্রদের সহায়তায় এবারো ইরানের হামলা ঠেকিয়ে ফেলার আশা করছে ইসরাইল।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘রক্ষণাত্মক ও আক্রমণাত্মক, ইসরাইল সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত। আমাদের দেশে যেকোনো হামলার জন্য আক্রমণকারীকে বড় মূল্য পরিশোধ করতে হবে।’

যদিও তেহরানের হামলায় বড় ক্ষতি হলে ইরানের মিত্রদের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়ানো হবে বলে গোপন বার্তা দিয়েছে নেতানিয়াহু প্রশাসন।

ইএ