বিদেশে এখন
0

ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ নিয়ে চুপ না থাকার প্রতিশ্রুতি কামালা হ্যারিসের

ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ নিয়ে চুপ না থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কামালা হ্যারিস। নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর ডেমোক্রেট দলের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জানান, যুদ্ধ শেষ করার সময় চলে এসেছে। অন্যদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য বৈঠকে নেতানিয়াহুকে চাপ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

গাজা যুদ্ধে ইসরাইলকে আকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে নিজ দল ডেমোক্রেটিক পার্টিতে সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের সম্ভাব্য উত্তরসূরি ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস। সংশয় ছিল, গাজা ইস্যুতে কামালার অবস্থান নিয়ে। তবে নেতানিয়াহুর যুক্তরাষ্ট্র সফরেই নিজ অবস্থান পরিষ্কার করলেন ৫৯ বছর বয়সী এই মার্কিন রাজনীতিবিদ।

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে কামালা জানান, গাজায় যুদ্ধ শেষ করার সময় চলে এসেছে। ফিলিস্তিনিদের অবর্ণনীয় যন্ত্রণার বিষয়ে চুপ না থাকার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস বলেন, ‘আমরা এই ট্র্যাজেডিগুলো থেকে চোখ ফিরিয়ে রাখতে পারি না। তাদের অবর্ণনীয় যন্ত্রণা দেখে আমরা অসাড় হয়ে থাকতে পারি না এবং আমি চুপ থাকবো না। নেতানিয়াহুকে জানিয়েছি, যুদ্ধবিরতি চুক্তির সময় চলে এসেছে।’

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী। হোয়াইট হাউজ থেকে জানানো হয় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে নেতানিয়াহুকে নিজের অনড় অবস্থান থেকে সরে আসতে বলেন বাইডেন। একইসঙ্গে উপত্যকায় মানবিক সহায়তা সরবরাহে সব ধরনের বাধা দূর করার আহ্বান জানান তিনি।

জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগ সমন্বয়কারী জন কিরবি বলেন, ‘আমরা যুদ্ধবিরতি চুক্তির খুবই কাছাকাছি। দুপক্ষের ব্যবধানগুলো ঘুচিয়ে ফেলার মতো। প্রেসিডেন্ট বিশ্বাস করেন, ৬ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে জিম্মিরা তাদের পরিবারের কাছে ফিরতে পারবেন।’

নেতানিয়াহুর যুক্তরাষ্ট্র সফর ঘিরে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে ওয়াশিংটনে। মাথায় কিফায়া ও হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে প্রতিবাদে নামেন শতাধিক বিক্ষোভকারী। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর প্রতীকী পাপেটের হাত ছিল রক্তে রঞ্জিত।

প্রায় ১০ মাস ধরে চলা যুদ্ধের পরেও থামছে না ইসরাইলিদের বর্বরতা। জেট বিমানের মাধ্যমে উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে আইডিএফ। হামলা হয়েছে জাতিসংঘের ত্রাণবহরেও। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অ্যাকশন এইডের প্রতিবেদন বলছে, জুলাইয়ের প্রথম ২৫ দিনে গাজায় প্রবেশে করেছে মাত্র ৭১০টি ত্রাণবাহী ট্রাক। অথচ যুদ্ধ শুরুর আগেও প্রতিদিন উপত্যকায় প্রয়োজন ছিল কমপক্ষে ৫০০টি ত্রাণবহর।

ইএ