ইতালির পুগলিয়াতে গতকাল (বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন) শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী জি-সেভেন সম্মেলন। এর প্রথম দিনই ইউক্রেনের জন্য আসে ইতিবাচক সব সিদ্ধান্ত। রাশিয়ার জব্দ অর্থ থেকে ইউক্রেনকে ৫ হাজার কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দিতে সম্মত হয় জি-সেভেনের নেতারা। পাশাপাশি ইউক্রেনের সঙ্গে ১০ বছরের নিরাপত্তা চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্য দিয়ে ন্যাটোর নিরাপত্তা বলয়ের আরও কাছে চলে গেছে জেলেনস্কির ইউক্রেন।
এবারের ৫০ তম জি-সেভেন সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে আলোচনায় গুরুত্ব পাবে ইউক্রেন ইস্যু, মধ্যপ্রাচ্য ইস্যু, জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন, খাদ্য নিরাপত্তা ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহার নিয়ে। দ্বিতীয় দিনে সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হজের আনুষ্ঠানিকতার কারণে এবারের জি-সেভেন সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন না সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।
দ্বিতীয় দিনে বিশ্ব নেতাদের আলোচনায় থাকবে চীন। যদিও বাণিজ্য নিয়ে চীনের সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের দ্বন্দ্ব, এরপরও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের বিশ্ব বাণিজ্যে অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে আলোচনা। রাশিয়াকে ইউক্রেনে যুদ্ধে চীন যেন কোন সহযোগিতা না করে, সেই বিষয়ও থাকবে আলোচনার টেবিলে।
এদিকে, একদিকে যেখানে প্রথম দিনের সম্মেলন শেষে রাতের খাবার সেরেছেন বিশ্বনেতারা, অন্যদিকে প্রতিবাদ জানিয়ে সম্মেলন স্থলের কয়েকশ' মিটার দূরেই দরিদ্রদের খাবারের আয়োজন করে ভিন্নধর্মী প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। 'নো জি-সেভেন' এর আয়োজকরা বলছেন, যুদ্ধের বিষয়ে গুরুত্ব না দিয়ে অন্য বিষয়ে আলোচনা এখন সমালোচনার শামিল।