বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন। গত বছর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে দেশটির অবদানের হার ১৮.৯ শতাংশ। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পুঁজি-সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণে পিছিয়ে নেই এশিয়ার এই পরাশক্তি। তবে দ্রুততম সময়ে উন্নয়নের ধারণা থেকে বের হয়ে মানসম্পন্ন টেকসই উন্নয়নের দিকে আগাচ্ছে চীনের অর্থনীতি। এই পালাবদল চীনের অর্থনীতির জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা।
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে বিশ্বের মূল সমস্যা হলো উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও তার সাথে সাথে জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন। আর উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে হলে আমাদের কী করতে হবে? সময়ের সাথে নিত্য নতুন প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে এবং চীন এই সুযোগ ভালোভাবেই কাজে লাগাতে পারে।’
আইএমএফ প্রধান মনে করেন, ২০২৪ সাল চীনের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিগত কয়েক বছরে দেশটির মানুষ অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি দেখেছে। জীবনযাত্রার মান বেড়েছে বহুগুণ। তবে সুখের দিন কেউই চিরকাল ভোগ করতে পারে না।
ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা আরও বলেন, ‘চীনের একটি গোটা প্রজন্ম দেখেছে দেশটির অর্থনীতির ক্রমেই বিরাট আকার ধারণ করছে। দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ হয়েছে এর পরিসর। কিন্তু উন্নয়নের এই ধারা আজীবন একভাবে চলবে না। অন্যান্য রাষ্ট্রের মতো চীনকেও উচ্চগতির উন্নয়নের ধারা থেকে মানসম্মত উন্নয়নের দিকে অগ্রসর হতে হবে।’
তার মতে, উন্নয়নের মানের দিকে মনোযোগ দিলে চীনে উন্নয়নের হার বা গ্রোথ রেট ১০, ১২ বা ১৫ শতাংশ থেকে নিচে নেমে আসবে। কিন্তু তারপরও দেশটিতে নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে মনে করেন। এ অবস্থায় ধৈর্য্য ধরে পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নেয়ার পরামর্শ ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার।