মহাকাশে বর্তমানে সচল স্যাটেলাইটের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯শ’র বেশি স্যাটেলাইটের মালিকানা যুক্তরাষ্ট্রের। মোট স্যাটেলাইটের ৮৪ শতাংশেরই অবস্থান পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথ বা লিওতে।
সম্প্রতি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের কক্ষপথে ৯টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে রাশিয়া। এর মধ্যে একটি হলো কসমস টু ফাইভ সেভেন সিক্স। সামরিক এই স্যাটেলাইটটির বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে উদ্বেগ জানিয়ে আসছে মহাকাশবিজ্ঞানীরা। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাস মহাকাশে নজরদারি করতে পারে কসমস টু ফাইভ সেভেন সিক্স। একইসঙ্গে যেকোনো সময় অন্য স্যাটেলাইটের ওপর হামলাও করতে পারে। পেন্টাগনের ধারণা, মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির আওতায় কসমস উৎক্ষেপণ করেছে মস্কো।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মার্কিন স্যাটেলাইটের কাছাকাছি নিজেদের স্যাটেলাইট পাঠিয়েছিল রাশিয়া। যদিও বেসামরিকের সঙ্গে সামরিক স্যাটেলাইট পাঠানোর ঘটনা এবারই প্রথম।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্য বলছে, একই কক্ষপথে অবস্থান করা মার্কিন স্যাটেলাইট ইউএসএ থ্রি ওয়ান ফোরের দিকে দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে কসমস। ফলে যেকোনো সময় রুশ স্যাটেলাইটটি হামলা করার মতো দূরত্বে চলে আসতে পারে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ অস্বীকার করে ক্রেমলিন জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন মেনেই চলছে মস্কোর মহাকাশ কর্মসূচি।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ বলেন, ‘আমরা কোনো আইন ভঙ্গ করিনি। আন্তর্জাতিক আইন মেনেই কাজ করেছি। মহাকাশে অস্ত্র কর্মসূচির বিরোধী রাশিয়া। তবে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের প্রস্তাব জাতিসংঘে প্রত্যাখ্যান করেছে।’
গেল মাসে মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে জাতিসংঘে প্রস্তাব উত্থাপন করে যুক্তরাষ্ট্র। যাতে ভেটো দেয় রাশিয়া। ওয়াশিংটনের অভিযোগ, ভেটো প্রয়োগের মাধ্যমে কোনো বিস্ফোরক তথ্য লুকাতে চাচ্ছে মস্কো। যদিও চলতি সপ্তাহে প্রায় একই ধরনের প্রস্তাব উত্থাপন করে রাশিয়া। ন্যূনতম ভোটের অভাবে বাতিল হয় প্রস্তাবটি।