অশান্ত কাশ্মীর উপত্যকা, পশ্চিমবঙ্গ ও অন্যান্য রাজ্যে ভোট দিতে আসা অনেক ভোটারদের মুখে শোনা যাচ্ছে অভিযোগের সুর। শ্রমিকদের মজুরি ও সরকারি চাকরিজীবীদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে জানান অসন্তুষ্টির কথা। এ অবস্থায় সব নাগরিককেই ভোটাধিকার প্রয়োগে এগিয়ে আসতে বলছেন সচেতন ভোটাররা।
ভোটারদের একজন বলেন, 'আমরা সরকারের কাছ থেকে কিছুই পাই না। আমি এখনও চাকরি করছি কিন্তু অনেকেই রেশন পাচ্ছে না।'
আরেকজন বলনে, 'শিক্ষার উন্নতি দরকার। এছাড়া শ্রমিকরা ঠিকমতো মজুরি না পাওয়ায় বিহারের এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ায়।'
এদিকে ভোটগ্রহণ শুরু হতে না হতেই পশ্চিমবঙ্গসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের অনেকগুলো কেন্দ্রে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্র দখল, জাল ভোটের অভিযোগে সরকার ও বিরোধী দলগুলোর প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে ঘটে হাতাহাতির ঘটনাও। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আচরণবিধি ভঙ্গে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগের স্তুপ নিয়ে হাজির হচ্ছে কংগ্রেস, সিপিএম এবং বিজেপিসহ প্রায় সব দলের প্রার্থী। শুধু দুই ঘণ্টায় অভিযোগ জমা হয়েছে প্রায় ৫শ'।
এই পর্বের নির্বাচনকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক দলগুলো। কারণ ৫৪৩ আসনের মধ্যে সরকার গঠন করতে প্রয়োজন ২৭২টি আসন। এরইমধ্যে তিন দফায় ২৮৩ আসনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। তাই আজকের নির্বাচন বিজেপি, কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি ছাড়াও সব প্রাদেশিক রাজনৈতিক দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারবার বলছেন, ৪শ'র বেশি আসন পাবে তাঁর দল বিজেপি।
সাত দফার লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোট হবে আগামী ২০ মে। ষষ্ঠ ও সপ্তম দফার ভোট হবে যথাক্রমে ২৫ মে ও জুনের ১ তারিখ। একযোগে ফলাফল জানা যাবে ৪ জুন। চতুর্থ দফায় ভোট দেয়ার পাশাপাশি পঞ্চম দফার ভোটের প্রচারে নরেন্দ্র মোদি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ সব দলের হেভিওয়েট নেতারা।