ইউক্রেনের জন্য মে মাস পরিণত হচ্ছে নিতান্তই নিষ্ঠুর মাস হিসেবে। ১৮ মাস আগে রুশ ফেডারেশন থেকে দখল করা খারকিভের ভভচানস্ক শহর আবারও বোমা বর্ষণের শিকার হয়েছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, উত্তর পূর্বাঞ্চলের ৫টি গ্রাম দখল করেছে মস্কো। গ্রামগুলো রাশিয়া আর ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলের মাঝে গ্রে জোন হিসেবে পরিচিত।
কোন না কোনভাবে ইউক্রেনের দুর্বল সেনা সক্ষমতার এলাকাগুলো দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলছেন, রাশিয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে। কিন্তু শুক্রবার সীমান্ত এলাকায় কয়েকটি গ্রাম দখলের কথা জানিয়েছে মস্কো। শনিবারও ইউক্রেনের সীমান্তের কয়েকটি গ্রামে উপস্থিতি ছিল রুশ সেনাদের। ভভচানস্ক এলাকায় হয়েছে বোমাবর্ষণ।
সীমান্তে রুশ সেনাদের হামলা জোরদারের ঘটনায় চলতি বছর ইউক্রেনীয়দের ভাগ্যে কি আছে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। সেনাসদস্য রুশদের তুলনায় কম ইউক্রেনের, নেই পর্যাপ্ত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও। শুষ্ক মৌসুমে আরও বিপাকে পড়ছে কিয়েভ, যেখানে রাশিয়া দেখাচ্ছে সক্ষমতা। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বুদ্ধিমত্তা দপ্তর বলছে, অস্ত্র না থাকায় এপ্রিল আর মে মাস কিয়েভের জন্য অনেক কঠিন হচ্ছে। আগ্রাসনের শুরু থেকে এতো সেনা আর সামরিক সরঞ্জাম খোয়ানোর পরও ৫ লাখের বেশি সেনা ইউক্রেনের সীমান্তে মজুত করে রেখেছে মস্কো।
উত্তরাঞ্চলের সীমান্তে নতুন সেনাদল যুক্ত হয়েছে। ওয়াশিংটনের ইনস্টিটিউট ফর দ্যা স্টাডি অব ওয়ার বলছে, সেভের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সেনাদল। খারকিভে হামলার জন্য এই গ্রুপে ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনা যুক্ত করছে মস্কো। ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনী বলছে, রাশিয়ার সীমান্তে সেনা মোতায়েন নিয়ে অনেক বড় পরিকল্পনা আছে। স্বল্পতার কারণে সম্মুখসারিতে অনেক বেশি সেনা আর যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন করতে পারছে না ইউক্রেন। পরিবর্তে সীমান্তে আরও বেশি সেনা মোতায়েন করছে রুশ বাহিনী।