এর আগে শনিবার (১১ মে) স্থলাভিযান জোরদারের ঘোষণা দিয়ে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় আইডিএফ। জাতিসংঘ বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত দেড় লাখ বাসিন্দা অঞ্চলটি ছেড়ে গেছে।
ইসরাইল-হামাস সংঘাত শুরুর পর নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি সীমান্তবর্তী অঞ্চল রাফায় আশ্রয় নেন। কিন্তু ইসরাইলের সেনাবাহিনী অঞ্চলটিতে স্থলাভিযান জোরদারের ঘোষণা দেয়ার পর দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার মতো অবস্থা বাস্তুচ্যুত এসব বাসিন্দাদের। জোর করে বেসামরিক নাগরিকদের রাফার চেয়ে কয়েকশ' গুণ বেশি অনিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়াটা 'অমানবিক সিদ্ধান্ত' বলে সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল।
এদিকে জাবালিয়ার শরণার্থী শিবিরে ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। হামলায় হতাহতের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো তথ্য দেয়নি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলছেন, হামাস নির্মূলে জাবালিয়ার অভিযান চালানোর আগেই বাসিন্দাদের সাময়িকভাবে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, ‘আমাদের যুদ্ধবিমান সন্ত্রাসীদের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। সামরিক অভিযানের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জাবালিয়া এলাকায় অস্থায়ী উচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু করেছি। গেল কয়েক সপ্তাহ ধরে লক্ষ্য করছি হামাস জাবালিয়ায় সামরিক সক্ষমতা পুনরুদ্ধারের অপচেষ্টা করছে। যে কোনো মূল্যে আমরা তা প্রতিহত করবো।’
ওয়াফার প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, জাবালিয়ায় জাতিসংঘ পরিচালিত একটি ক্লিনিক সংলগ্ন এলাকার অ্যাম্বুলেন্স লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। গাজার মধ্যাঞ্চলে আইডিএফের অভিযান হামাসের ৩০ সদস্য নিহত হয়েছে এমন দাবি করছেন হাগারি। হামাসের সব পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন আইডিএফ মুখপাত্র।
ড্যানিয়েল হাগারি আরও বলেন, ‘জেইতুন এলাকায় বিস্তৃত পরিসরে অভিযান চলছে। হামাসের অন্তত ৩০ জন সদস্য নিহত হয়েছে। স্কুল থেকে কয়েক ডজন আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। হামাস এখানে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। মাটির নিচে বেশ কয়েকটি টানেলের সন্ধান পেয়েছি। এখান থেকে পাল্টা হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল।’
এদিকে হামাসের হাতে জিম্মি ব্রিটিশ বংশোদ্ভুত এক ইসরাইলি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। হামাসের কাসাম ব্রিগেডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইসরাইলের ড্রোন হামলায় গুরুতর আহত হয়ে গেল এক মাস ধরে মৃত্যুর সাথে লড়ছিলেন তিনি।