বিদেশে এখন
রাফায় সেনা অভিযানের আশঙ্কা বাড়ছে
যুদ্ধবিরতি আলোচনার কোন অগ্রগতি না থাকায় রাফায় সেনা অভিযানের আশঙ্কা বাড়ছে। এর মধ্যেই সীমান্তের ক্রসিং, ইসরাইলি সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণে নেয়ায় উপত্যকায় ত্রাণ সরবরাহ নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।

আইডিএফ বলছে, হামাস নির্মূল কিংবা বন্দি বিনিময় না হওয়া পর্যন্ত রাফায় অভিযান চলবে। এদিকে, হামাসের পাল্টা বক্তব্য গাজায় আগ্রাসন চলতে থাকলে কোন যুদ্ধবিরতি চুক্তি হবে না। 

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ বাড়ছে। কিন্তু কোনভাবেই বারবার আলোচনায় বসেও সমঝোতায় আসতে পারছে না ইসরাইল ও হামাস। 

রাফা সীমান্ত, যেখানে আশ্রয় নিয়েছে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থী সেই আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরাইলের সেনা উপস্থিতি বাড়তে থাকায় বাড়ছে সেনা অভিযানের সম্ভাবনা। 

এই অবস্থায় ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তি না দেয়া আর হামাস নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত শুধু রাফা নয় পুরো গাজা উপত্যকায় অভিযান চলবে।

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসের পক্ষ থেকে আসা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ইসরাইলের দাবিগুলোর অবস্থান নগন্য। 

রাফা সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তিনি বলেন, ‘হামাসের অবশিষ্ট শক্তি ধ্বংস করার পদক্ষেপ এটি।’

তবে হামাস বলছে, আগ্রাসন চলতে থাকলে কোন ধরনের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে যাবে না সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। যুদ্ধবিরতি চুক্তি যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে তাতে এই উপত্যকার মানুষের দাবি নগন্য।

রাফায় সেনা অভিযান পরিচালনা নিয়ে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ। সংস্থাটির মহাসচিব বলছেন, শরণার্থী শিবিরে সেনা অভিযান মানেই চরম মানবিক বিপর্যয়। 

জাতিসংঘ বলছে, মঙ্গলবার (৭ মে) থেকেই রাফা সীমান্ত বন্ধ করে রেখেছে ইসরাইলের সেনারা, এই সীমান্ত ত্রাণ সরবরাহের গুরুত্বপূর্ণ রুট হওয়ায় গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে পারছে না। যেখানে এরমধ্যেই দুর্ভিক্ষের কবলে পড়তে যাচ্ছে এই উপত্যকা।

সংকটের এই সময় যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইসরাইল দাবি করেছে, রাফায় এই সেনা অভিযান হবে সীমিত আকারে। উপত্যকার এই শহর দিয়ে যেন অবৈধভাবে অস্ত্র আর তহবিল না যায়, সেই লক্ষ্যে চলবে অভিযান।

ফিলিস্তিনিদের সমর্থন, গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর আর রাফায় সেনা অভিযানের নিন্দা জানিয়ে বিক্ষোভ হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে। রাফায় অভিযান আতঙ্কে ইসরাইলে সামরিক সহায়তা স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইএ