জিম্মি চুক্তিতে রাফা অঞ্চলে হামলা বন্ধে প্রস্তুত ইসরাইল

0

জিম্মিদের মুক্ত করার বিনিময়ে রাফা অঞ্চলে হামলা বন্ধ রাখতে প্রস্তুত ইসরাইল এ কথা বলেন ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাটজ। অন্যদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিদের মুক্তির দাবিতে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে চাপে পড়েছে প্রশাসন। একই দাবিতে এবার রাস্তায় নেমেছে কয়েক হাজার ইসরাইলবাসী।

ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের জন্য লড়ছেন ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধশত ক্যাম্পাসে গড়ে উঠেছে ফিলিস্তিনপন্থী প্রতিবাদ শিবির। শিক্ষার্থীদের দাবি, গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, ইসরাইলকে অস্ত্র সহায়তা না দেয়া এবং বন্দিদের ফিরিয়ে আনা।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে পুলিশ নামিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত এক সপ্তাহে আটক করা হয় সাড়ে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীকে। শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের নির্যাতন এবং ক্যাম্পাসজুড়ে আন্দোলন বিক্ষোভে চাপে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

দুই ইসরাইলি জিম্মির একটি নতুন ভিডিও প্রকাশ করেছে স্বাধানীতাকামী সংগঠন-হামাস। ৬৪ বছর বয়সী কিথ সেইগাল মার্কিন নাগরিক। ৪৭ বছর বয়সী ওমরি মিরানকে তার দুই মেয়ে ও স্ত্রীর সামনে জিম্মি করা হয়। ভিডিও বার্তায় তারা মুক্তির জন্য পরিবারের কাছে আবেদন জানান।

এদিকে হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তি ও অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে ইসরাইলের রাজধানী তেলআবিবের রাস্তায় নেমেছে কয়েক হাজার মানুষ। বিক্ষোভকারীরা শহরের প্রধান সড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে। এ সময় তারা ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা।

প্রিয়জনদের জীবিত অবস্থায় ফিরিয়ে আনার দাবিতে অবিলম্বে ইসরাইল সরকারকে হামাসের সঙ্গে চুক্তির আহ্বান জানান স্বজনরা।

ইসরাইলে বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, 'আমার বাবার মুক্তির জন্য সবার কাছে আবেদন জানাচ্ছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হামাসের সঙ্গে চুক্তি করে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা হোক।'

আরেকজন বলেন, 'ইসরাইলসহ বিশ্ববাসী সবাই এই রক্তপাতের সমাপ্তি চায়। যেকোনো মূল্যে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা এই মুহূর্তে ইসরাইলি সরকারের প্রধান দায়িত্ব।'

জিম্মিদের মুক্ত করার বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলেন ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাটজ। বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে গাজার রাফা অঞ্চলে চলমান অভিযান বন্ধ রাখতেও প্রস্তুত ইসরাইল।

ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'বন্দিদের মুক্ত করার বিষয়ে কোনো চুক্তি হলে, রাফা অঞ্চলে চলমান অভিযান বন্ধ করে দেয়া হবে। জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে যা করা দরকার তার সবই করতে রাজি নেতানিয়াহু সরকার।'

সময় যাচ্ছে আর ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আন্দোলন জোরদার হচ্ছে বিভিন্ন দেশে। মিত্র দেশগুলো ইসরাইলকে সমর্থন করতে গিয়ে নিজ দেশের জনগণের আন্দোলনের মুখে পড়ছে তারা। আন্তর্জাতিক চাপের পাশাপাশি ইসরাইলি সরকারও দিন দিন তাদের জনসমর্থন হারাচ্ছে।

ইএ