যুদ্ধ
বিদেশে এখন
0

পশ্চিমা বিশ্বের উসকানিতে বাড়ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি

পশ্চিমা বিশ্বের উসকানিতে বাড়ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি, অভিযোগ রাশিয়ার। মস্কো বলছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের মদদে গুরুতর কৌশলগত ঝুঁকি নিচ্ছে ইউক্রেন যা বিশ্বকে ঠেলে দিচ্ছে সবচেয়ে বড় পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে।

রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সোমবার (২২ এপ্রিল) ধসে পড়ে ইউক্রেনের খারকোভ শহরের প্রায় আড়াইশ' মিটার উঁচু একটি টেলিভিশন টাওয়ার। টেলিভিশন টাওয়ার হলেও এতে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অ্যান্টেনাসহ কিয়েভের বিভিন্ন সামরিক যন্ত্রাংশ ছিল বলে দাবি রুশ সংবাদমাধ্যমের।

চলতি মাসে ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা জোরদার করে ক্রেমলিন। রাশিয়ার তেল অবকাঠামো লক্ষ্য করে ড্রোন হামলার জবাবে ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্র আর যোগাযোগ টাওয়ারগুলোতে হামলা চালাচ্ছে মস্কো। চলতি সপ্তাহে যুদ্ধবিমান, বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও অন্যান্য সামরিক যান ও সরঞ্জাম ধ্বংসসহ ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলের একটি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয় রুশ সেনারা। 

অন্যদিকে কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার রণতরী ধ্বংসের দাবি করেছে কিয়েভ। যুদ্ধে এমন কোণঠাসা অবস্থার মধ্যে পশ্চিমা সাহায্যের দিকে তাকিয়ে ইউক্রেন। 

এরই ধারাবাহিকতায় এযাবৎকালের সবচেয়ে ব্ড় সামরিক সহায়তায় ছাড় দিচ্ছে যুক্তরাজ্যও। সহায়তার মধ্যে থাকবে ৪শ' সামরিক যান, ৬০টি নৌকা, ১৬শ' ক্ষেপণাস্ত্র ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ৪০ লাখ রাউন্ড গুলি। এর আগে ছয় হাজার কোটি ডলারের বেশি সামরিক সহায়তার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

রিপাবলিকান নেতা ও মার্কিন কংগ্রেস সদস্য টম কিয়ান বলেন, 'অবৈধ রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনের মানুষের জন্য ছয় হাজার কোটি ডলারের সহযোগিতা প্রস্তাব এরই মধ্যে মার্কিন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে পাশ হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এটি উচ্চকক্ষে যাবে এবং প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরে আইন হিসেবে কার্যকর হবে বলে আশা করছি।'

প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিমা সাহায্যে যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি বদলাবে না বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন। তবে পশ্চিমা বিশ্বের উসকানিতে বাড়ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি, অভিযোগ রাশিয়ার।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, 'পশ্চিমা বিশ্ব পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সম্পর্কের ভিত নড়বড়ে করে দিচ্ছে। সরাসরি সামরিক সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দিচ্ছে পরিস্থিতি। এর পরিণতি মারাত্মক হতে পারে। আমাদের মূল উদ্বেগ কিয়েভের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তিন মূল পশ্চিমা হোতা, যারা নানাভাবে পরিস্থিতি উসকে দিচ্ছে।

ব্রিটিশ সরকারের নতুন সহায়তার ফলে চলতি অর্থবছরে শুধু যুক্তরাজ্যের কাছ থেকেই ৩শ' কোটি পাউন্ডের সহায়তা পেলো ইউক্রেন। এদিকে পশ্চিমা দেশগুলোতে রাশিয়ার মালিকানাধীন ৩০ হাজার কোটি ডলারের সম্পদ ব্যবহার করে ইউক্রেনকে সহায়তার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে বিশ্বের শীর্ষ সাত অর্থনীতির জোট জি সেভেন।

ইএ