ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে অবস্থিত নজরকাড়া ভবনটি যুক্তরাষ্ট্রের টিকটকের হেডকোয়ার্টার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ এক উদ্দেশ্য দিয়ে এই ভবনের সামনে এসেছেন টিকটক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর জো আলেহান্দ্রো। বলছেন, রোববার সকাল থেকে আর কোনো ভিডিও ধারণের ব্যস্ততা থাকবে না তার।
টিকটক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর জো আলেহান্দ্রো বলেন, ‘মূলধারার গণমাধ্যমে চাকরি হারানোর পর টিকটক আমাকে নতুন জীবন দিয়েছে। জীবনধারণের সুযোগ দিয়েছে।’
জো'র মতো এমন অসংখ্য ক্রিয়েটর আছেন যারা টিকটকের মতো সামাজিক মাধ্যমে কন্টেন্ট তৈরির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন। রোববারের পর কনটেন্ট ক্রিয়েশন আর প্ল্যাটফর্ম নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে তাদেরকে। আর যদি যুক্তরাষ্ট্রে চিরতরেই বন্ধ হয়ে যায় জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি- তাহলে এতদিনের শ্রম ও কাজের মূল্যায়ন পাবেন না এই ক্রিয়েটররা।
টিকটক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর জো আলেহান্দ্রো বলেন, ‘সম্ভবত এটাই আমার শেষ দিন। টিকটক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের এত দিনের পরিশ্রম ব্যর্থ হতে যাচ্ছে। এতদিন ধরে যা কাজ করেছি সব হারিয়ে যেতে বসেছে।’
মার্কিন কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে ১৯ জানুয়ারি রোববারের মধ্যে টিকটকের মালিকানা হস্তান্তরের নির্দেশ দেয় যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত। অন্যথায় তা বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণাও আসে। যদিও, নির্ধারিত সময়ের ২ ঘণ্টা আগে শনিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপল বা অ্যান্ড্রয়েড সব অপারেটিং সিস্টেম থেকেই সরিয়ে নেয়া হয়েছে টিকটকের কার্যক্রম। প্লে-স্টোর থেকেও সরিয়ে নেয়া হয়েছে ডাউনলোডের অপশনও।
যদিও এরমধ্যে টিকটকের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বাইট ড্যান্সকে কিছুটা আশার আলো দেখাচ্ছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৭ জানুয়ারি এক এক্সবার্তায় ট্রাম্প উল্লেখ করেন, টিকটক নিষিদ্ধের বিষয়টি নিয়ে আরও ভাবতে চান। এরপরই বাইট ড্যান্সের প্রধান নির্বাহী থেকে শুরু করে মার্কিন গণমাধ্যম দাবি করছে, শপথ গ্রহণের পর টিকটককে মালিকানা হস্তান্তরে আরও ৯০ দিন সময় দিতে পারেন তিনি।
এর আগে, গেল এপ্রিলে বাইডেনের নেতৃত্বে টিকটক নিষিদ্ধের প্রস্তাব ওঠে কংগ্রেসে। অভিযোগ ছিল, মার্কিন নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য চীনা গোয়েন্দা সংস্থার কাছে পৌঁছে দিচ্ছে টিকটকের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বাইট ড্যান্স।