বিদেশে এখন
0

স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে আমিরাতের জনজীবন

অতিবৃষ্টিতে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যার পানি নামতে শুরু করায় স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে আমিরাতের জনজীবন। ইতোমধ্যে স্থবিরতা কাটিয়ে উঠেছে দুবাই বিমানবন্দর। তবে এখনও বেশকটি অঞ্চলে এখনও জলাবদ্ধতা রয়েছে। এঅবস্থায় ঘরবন্দি প্রায় পাঁচ শতাধিক প্রবাসী। তাদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেট ও বাংলাদেশ সমিতি।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৩৫ লাখ বাসিন্দার এই শহরটিতে ৯২ শতাংশই অভিবাসী। স্মরণকালের ব্যাপক বৃষ্টি ও বন্যায় সবাই ক্ষতিগ্রস্ত। এছাড়া বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা পর্যটন গন্তব্য হিসেবেও বিবেচনা এই বাণিজ্যিক শহরের আয়েও ভাটার টান। ইতোমধ্যে সেই স্থবিরতা কাটিয়ে উঠেছে দুবাই বিমানবন্দর। পুরোদমে সচল হয়েছে বিমান ওঠা-নামা কার্যক্রম।

এদিকে পানি নিষ্কাশনের পর বেশিরভাগ স্থানে কর্মচাঞ্চল্যতা বেড়েছে। তবে কিছু নিচু অঞ্চলে রয়েছে জলাবদ্ধতা। যেখান থেকে পানি নিষ্কাশনে কাজ চলমান। পানিবন্দি অনেক প্রবাসী শ্রমিকদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম করে দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেট ও শারজাহ বাংলাদেশ সমিতি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা শারজার আল কাসিমি ও এক নম্বর সানাইয়ায় এসব খাবার ও পানীয় দ্রব্য সরবরাহ করা হয়।

শারজাহ বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি আবুল বাশার বলেন, 'হৃদয় বিদারক অবস্থা এখানে। বাংলাদেশ কনস্যুলেটকে পাশে পেয়ে  আমরা আনন্দিত।'

পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও পানিবন্দি প্রবাসীদের মাঝে নিয়মিত ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ কনস্যুলেট। তাই সরকারে পাশাপাশি সামাজিক ও ব্যবসায়িক সংগঠনগুলোকেও অসহায় প্রবাসীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

দুবাই সংযুক্ত বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শ্রম কাউন্সেলর মো: আব্দুস সালাম বলেন, 'আরব আমিরাতে আমাদের ১০ লাখ লোক রয়েছে।  শারজাহতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এখানে প্রবাসীরা বেশি জলাবদ্ধতার মধ্যে পড়েছে।'

দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন বলেন, 'আমরা সবসময় তাদের খোজ খবর নিচ্ছি যখন যেটা প্রয়োজন সেভাবে আমরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবো।'

৭৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতে এমন বন্যার কবলে পড়ে মরুভূমির এই শহরটি। এতে এখন পর্যন্ত প্রাণ গেছে অন্তত ৪ জনের।

ইএ