দুইবছর আগে শুরু হওয়া রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে রুখতে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ছিল ইউক্রেন। অস্ত্রের সিংহভাগই আসে পশ্চিমাদেশগুলো থেকে।
যুদ্ধের এ পর্যায়ে এসে পাল্টেছে চিত্র। কিয়েভের জন্য কমেছে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশগুলোর বরাদ্দ। এ পরিস্থিতিতে অস্ত্র ও গোলাবারুদের সংকটে যুদ্ধের ময়দানে চরম বিপদে ইউক্রেনীয় সেনারা।
ইউক্রেনীয় সেনাদের একজন বলেন, 'পরিস্থিতি খুবই খারাপ। আমাদের কাছে অল্প কিছু শেল রয়েছে। যা আগের কয়েকটা আর নতুন করে কয়েকটা শেল এসেছে। আগে দৈনিক ১০০টা শেল আসতো আমাদের কাছে।'
যুদ্ধের ময়দানে এখন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা। সরকারের কাছে বারবার অস্ত্র সহায়তার আর্জি তাদের।
ইউক্রেনীয় সেনারা আরও বলেন, আমাদের কাছে যদি পর্যাপ্ত অস্ত্র থাকতো, তাহলে রুশ সেনারা বেশি দূর আগাতে পারতো না। অস্ত্রের অভাবে কিছুই করতে পারছি না। কামান ছাড়া শত্রুর বিরুদ্ধে শুধু সৈন্য দিয়ে কী বা করা যায়? শত্রুপক্ষের ড্রোন চারপাশে উড়ে। আমরা গেলে তারা আমাদের শনাক্ত করে আঘাত করবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট অবশ্য ঘোষণা দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র সহায়তা না দিলে ধীরে ধীরে যুদ্ধ থেকে পিছপা হবেন তারা।
গত সপ্তাহজুড়েই ইউক্রেনের খারকিভে অবকাঠামোতে আঘাত হেনেছে রাশিয়া। এতে সেখানকার পাওয়ার স্টেশনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি মস্কোর।