যানজটমুক্ত শহর, পর্যটন শিল্পে আধুনিকায়ন, চিকিৎসা ব্যবস্থায় উন্নতি, আধুনিক বিমান ও নৌ বন্দর এবং কঠোর আইন প্রয়োগের মধ্য দিয়ে বিশ্বের নজর কেড়েছে সিঙ্গাপুর।
এছাড়া ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ঠিক মাঝখানে হওয়ায় আকাশ ও জলপথের বাণিজ্যসহ গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট হয়ে উঠেছে সিঙ্গাপুর। যে কারণে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দেশটির সাফল্য অনেক আগেই ধরা দিয়েছে। দিন দিন সেই যাত্রায় হাতছানি দিচ্ছে উন্নতি।
সম্প্রতি গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল সেন্টার ইনডেক্সের (জিএফসিআই) ৩৫তম গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে আসে এমন তথ্য। যেখানে দেখা যায়, বিশ্বের আর্থিক কেন্দ্রের শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে নিউইয়র্ক শহর। দ্বিতীয় অবস্থানে যুক্তরাজ্যের লন্ডন। তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে আছে এশিয়ার সিঙ্গাপুর ও হংকং। মাত্র এক পয়েন্টের ব্যবধানে হংকংকে পেছেনে ফেলে আবারও এশিয়ার শীর্ষ আর্থিক কেন্দ্র হয়ে উঠেছে সিঙ্গাপুর।
২০২২ সালে প্রথমবার হংকংকে পেছনে ফেলে এশিয়ার শীর্ষ আর্থিক কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল দেশটি। আর এটি ব্যবসায়িক পরিবেশ, মানবিক মূলধন, অবকাঠামো, আর্থিক খাতের উন্নয়ন এবং সুনাম ও খ্যাতির মানদণ্ডে এগিয়ে থাকার কারণে সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে দুই ধাপ পিছিয়ে ১৫তম স্থানে নেমে এসেছে চীনের রাজধানী বেইজিং। তবে এক দাপ উন্নতি করে বিশ্ব আর্থিক কেন্দ্রের তালিকায় ১০ নম্বর স্থান দখল করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার শহর সিউল।
এদিকে জিএফসিআই-এর সমীক্ষায় একটি প্রশ্ন ছিল, আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে কোন আর্থিক কেন্দ্রগুলো সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে? এ প্রশ্নে ১৫টি আর্থিক কেন্দ্রের কথা উল্লেখ করেন উত্তরদাতারা। যার মধ্যে ৮টিই এশিয়া অঞ্চলের, এতে সর্বাধিক সমর্থন পেয়ে শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল, ঠিক পরের স্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর। তৃতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শহর দুবাই। তারপরের অবস্থানে রয়েছে হংকং।