বোয়িং-৭৮৭ ড্রিমলাইনারের মাধ্যমে রোম ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে। এই রুটটি চালুর মধ্য দিয়ে ইতালির সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হলো।
রুটটি দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বণিজ্য ও শিক্ষার বিস্তার ঘটাবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। একইসঙ্গে সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনও ঘটবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত একটি রুট ছিল। এই রুটের মাধ্যমে ইউরোপের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আরও উন্নত হবে।’
বিমানকে স্বাগত জানিয়ে নতুন করে ব্যবসায়িক সম্পর্কের কথা জানান ইতালির জিএসএ ডিসটাল কর্মকর্তা ফ্রান্সেসকো ভেনেজিয়ানো। তিনি বলেন, ভ্রমণ ও ব্যবসার উদ্দেশ্যে ইতালি থেকে যারা ঢাকা যাবেন তাদের বিষয়ে অবশ্যই মনোযোগী হবো।
বাংলাদেশ থেকে আগত যাত্রীরা বিমানের সার্ভিসে সন্তুষ্টির কথা জানান। এক যাত্রী বলেন, বিমানের সার্ভিস সবমিলিয়ে ভালো ছিলো।
রোম ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে ফিরতি ফ্লাইট বিজি-৩৫৬ রোম থেকে ২৭ মার্চ সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে যাত্রা করে ঢাকায় পৌঁছায় পরের দিন স্থানীয় সময় বুধবার মধ্যরাতে।
প্রথম ফিরতি ফ্লাইটে ২৫৪ জন যাত্রী রোম থেকে ঢাকায় যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন পর রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমানে চড়ে সরাসরি বাংলাদেশ যেতে পারায় আনন্দিত প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
এক প্রবাসী বলেন, ‘আমাদের অনেকদিনের আকাঙ্ক্ষা ছিলো, সরাসরি ঢাকা-রোম-ঢাকা ফ্লাইট চালু হবে। এই ফ্লাইট চালু হওয়ায় আমাদের কোন ভোগান্তি হবে না। আমরা প্রবাসীরা খুবই আনন্দিত।
১৯৮১ সালের ২ এপ্রিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের রোম ফ্লাইট চালু হয়। তবে ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল থেকে বন্ধ ছিলো এই রুটে ফ্লাইট চলাচল।