জাকার্তা থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে পূর্ব সীমান্তের শহর বেকাসিতে ভর্তুকি মূল্যে চাল বিক্রি করছে সরকারি সংস্থা বুলগ। সেখানে স্বল্পমূল্যের চাল কিনতে ভিড় করেছেন অনেক ক্রেতা। গত বছর খরার কারণে দেশটিতে এই খাদ্যপণ্যের উৎপাদন কমে যায়।
ক্রেতারা বলেন, যদি চালের দাম আরও বাড়ে তাহলে চিৎকার করে কাঁদতে হবে। কারণ, আমাদের অনেক বিল পরিশোধ করতে হয়। এছাড়া বাচ্চাদের স্কুলের বেতনও দিতে হয়।
বিশ্বের অন্যতম চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত, স্থানীয় বাজার স্থিতিশীল করতে গত বছর রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপের পর বিশ্ববাজারে ১৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে চাল। ইন্দোনেশিয়ার ২৭ কোটি মানুষের বেশিরভাগের প্রধান খাবার ভাত। গেল বছর থেকে দেশটিতে ১৬ শতাংশ বেড়েছে চালের দর। এল নিনো প্রভাবে বৃষ্টিপাত কমায় এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলেও গেল বছর চালের উৎপাদন কমেছে। ফলে অনেক দেশে বেড়েছে মূল্যস্ফীতি। নিত্যপণ্য কিনতে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছে, এমন অবস্থায় চালে ভর্তুকি দিয়ে ক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি এনেছে সরকার।
এক নারী ক্রেতা বলেন, ‘সাধারণ মানুষ সরকারের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে। চালের দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে কেনার সামর্থ্য কমছে। আবার অনেক স্থানে চাল পাওয়া যাচ্ছে না।’
তবে মজুতে যেন চাপ না পড়ে, সেজন্য প্রত্যেক গ্রাহক দুই বস্তায় সর্বোচ্চ ১০ কেজি চাল নিতে পারছেন। জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সরকারি মজুত থেকে ৩ লাখ টন চাল দেশের কয়েকশো’ বাজারে সরবরাহ করেছে এই সংস্থা। দেশটির খুচরা বাজারেও দেখা দিয়েছে চালের সংকট। জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত এ ধরনের ৪শ'র বেশি বাজার তৈরি হয়েছে, আরও ৩শ'র বেশি বাজার তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বুলগ-এর। আগামী মার্চ পর্যন্ত ভর্তুকি মূল্যে চাল সরবরাহ করবে সরকারি এই সংস্থা।
২০২৩ সালে রেকর্ড পরিমাণ চাল আমদানি করেছে ইন্দোনেশিয়া। ২০২৪ সালের জন্য ২০ লাখ টন চাল আমদানির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে দেশটি। আরও ১৬ লাখ টন আমদানির আবেদন করা হয়েছে। সংকট সৃষ্টি হলে বিশ্ববাজারে আরও চালের দাম বেড়ে যেতে পারে।