বিদেশে এখন
0

লোহিত সাগরে জ্বালানি তেলের আস্তরণ, হুমকির মুখে বাস্তুসংস্থান

হুতিদের ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি কার্গো জাহাজ থেকে তেল ছড়িয়ে পড়ছে সমুদ্রে। এর ফলে লোহিত সাগরে পানির ওপর জাহাজটি ১৮ মাইল দীর্ঘ তেলের আস্তরণের জন্ম দিয়েছে।

গাজায় সেনা অভিযানের বিরোধিতা করে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা অব্যাহত রেখেছে হুতি বিদ্রোহীরা। চলতি মাসে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি কার্গো জাহাজ, যে জাহাজে ছিল হাজার হাজার টন সার। লেবাননের মালিকানাধীন এই জাহাজ পরিচালনা করছে গ্রিসের কোম্পানি ব্লু ফিট গ্রুপ।

এমভি রুবিমার জাহাজ কর্তৃপক্ষ বলছে, এখনও এটি সমুদ্রে ভেসে থাকলেও অনেকাংশে পানি প্রবেশ করেছে।

হুতিদের হামলায় জ্বালানি তেল ছড়িয়ে পড়েছে সমুদ্রে। ২৪ ক্রু সদস্যকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ইয়েমেনের জিবুতি বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, এই জাহাজে যে সার ছিলো, তা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এই জাহাজে ২২ হাজার টন সার ছিলো। এই ব্লু ফিট গ্রুপের একটি শাখা আছে বৈরুতে, ২০২২ সালে যেখানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয় ২ হাজার ৭শ' ৫০ টন অ্যামোনিয়ামে আগুন ধরে।

এমভি রুবিমার বুলগেরিয়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলো। লোহিত সাগরে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা এই কার্গোতে হামলা করে। নভেম্বর থেকেই লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে অনবরত চলছে হামলা। রাসায়নিকবাহী এই জাহাজ কেউ নিজেদের বন্দরে রাখতে চাইছে না।

পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, সমুদ্রের মাঝে থাকলে এই জাহাজ পরিবেশ দূষিত করতে থাকবে আর ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনাও আছে। হাজার টন সার সমুদ্রে পড়ে গেলে হুমকিতে পড়ে যাবে লোহিত সাগরের বাস্তুসংস্থান।

গাল্ফ অব মেক্সিকোতে সারের কারণে দূষিত হয় সামুদ্রিক পরিবেশ। লোহিত সাগরে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজের এই সার ছড়িয়ে পড়লে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কোরালের সারিগুলো।

ইএ