তবে গবেষণা প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত বা সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা নিয়ে আসতে পারবেন।
ব্রিটেনের অভিবাসন বিষয়ক আইনজীবী নাশিত রহমান বলেন, যাদের ১ জানুয়ারি থেকে পিএইচডি ও এমফিল প্রোগ্রামের কোর্স শুরু হয়েছে তারা সন্তান, স্ত্রী ও স্বামীকে নিয়ে আসতে পারবেন। এর বাইরে কেউ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আসতে পারবেন না।
আগের নিয়মে স্টুডেন্ট ভিসায় দেশটিতে আসা শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যরা ফুল টাইম কাজের সুবিধা পেতেন। তবে বর্তমানে পরিবারের সদস্য আনার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় দেশটিতে পড়াশোনার খরচ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে শঙ্কিত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তের কারণে আমাদের বেশ কষ্ট হবে। এছাড়া আমাদের এখানে ফুল টাইম কাজের সুযোগ নেই।’
ব্রিটেনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতে আসলেও বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর লন্ডন শহর টার্গেট থাকে। এতে করে শহরটিতে আবাসন ও চাকরির সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। নতুন করে যোগ হয়েছে পরিবর্তিত অভিবাসন আইন। তাই ঝুঁকি এড়াতে ব্রিটেনে আসার আগে দেশটির সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিয়ে আসার পরামর্শ দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
ব্রিটেনের লিডস ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মুশফিক উদ্দিন বলেন, ‘বিদেশে হুট করে পড়তে আসা ঠিক নয়। কেননা এখানে আবাসনসহ অনেকগুলো বিষয় থাকে। তাই ব্রিটেনে আসার আগে সবগুলো বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে।’
২০২২-২৩ সালে ব্রিটেনে অভিবাসীদের পরিবারের সদস্য আসার সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। এ কারণে অভিবাসী নিয়ন্ত্রণে ইতিহাসের সবচেয়ে কঠোর অবস্থানে ঋষি সুনাক সরকার।