সোমবার মধ্যরাতে হঠাৎ বিকট এক বিস্ফোরণে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয় উত্তর ইউরোপের দেশটিতে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, প্রতি সেকেন্ডে লাভা উদগীরণের হার ১০০ থেকে ২০০ ঘনমিটার।
যা সাম্প্রতিক কয়েক বছরের চেয়ে অনেক বেশি। এমনকি এবারের উদগীরণ থামতে কয়েকমাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
চলতি বছর তৃতীয় বারের মতো অগ্ন্যুৎপাত দেখতে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা। যদিও এই এলাকায় যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন।
নভেম্বরের অগ্ন্যুৎপাতের সময় গ্রিনদাভিকের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হলেও হুমকির মুখে শহরের স্থাপনা। বিজ্ঞানীরা বলছেন আইসল্যান্ডের এখন সক্রিয় আছে ৩৩ টি আগ্নেয়গিরি, যা ইউরোপের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বিশ্বের একপ্রান্তে যখন মাটি ফুড়ে বের হচ্ছে লাভা, তখন অন্যপ্রান্ত জমে গেছে বরফে। চীনের জিনজিয়ান প্রদেশে অবস্থিত দেশটির সবচেয়ে বড় লবণাক্ত পানির হ্রদ। তাপমাত্রা শূন্যের নিচে নেমে যাওয়ায় পানি পরিণত হয়েছে বরফে।
একই চিত্র দেশটির সবচেয়ে বড় মরুভূমি তাকলামাকানেরও, যেখানে বালির ওপর আস্তরণ জমেছে শুভ্র বরফের। বার্ষিক ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হওয়া এই মরুভূমিতে তুষারপাতের দৃশ্যকে বিরল বলছেন বিজ্ঞানীরা।
শৈত্যপ্রবাহের রেশ কাটার পর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে রাজধানী বেইজিংয়ের জনজীবন। শুরু হয়েছে স্কুলে স্বশরীরে পাঠদান। গেল সোমবার অঞ্চলটির তাপমাত্রা ছিলো রেকর্ড সর্বনিম্ন মাইনাস ১৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বেইজিংয়ের বাসিন্দারা বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। এজন্য অফিস শুরুর সময় পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। শীত মোকাবিলা করতে অনেকগুলো কাপড় পড়েছি। রাস্তায় যানজট থাকায় বাড়ি থেকে আগেভাগে বের হয়েছি।
তবে এখনো পূর্বের আনহুই ও জিয়াংসু প্রদেশগুলোয় অব্যাহত আছে তুষারপাত।