বিদেশে এখন
0

গাজায় মঙ্গলবার থেকে মুষলধারে বৃষ্টি

ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ

ইসরাইলি বাহিনীর লাগাতার বিমান হামলার মধ্যেই গাজায় মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টি। এতে বেড়েছে ঘরবাড়ি ছেড়ে খোলা জায়গায় আশ্রয় নেয়া সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ। বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা দেখা দিলে রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।

গাজাবাসীদের ওপর ইসরাইলি বোমা হামলা এখনো থামেনি। প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়া গাজাবাসীর দুর্ভোগ বাড়াতে এবার সেই বোমা হামলার সঙ্গে যোগ হল মৌসুমের প্রথম বৃষ্টি। এতে বিভিন্ন এলাকায় বন্যা দেখা দিলে রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা জনমনে।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে জাতিসংঘের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে তাঁবুর নিচে গত কয়েকদিন ধরেই বসবাস করছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। কিন্তু বৃষ্টির কারণে তাঁবুতে থাকাও দায় হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে ভিজে গেছে তাদের জিনিসপত্র এমনকি বিছানাও। এদিকে ঠান্ডা আবহাওয়ায় দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ। তাদের বেশিরভাগের কাছেই গরম কাপড় নেই। বাস্তুচ্যুত এসব মানুষের কাছে অর্থও নেই।

বাস্তুচ্যুত একজন বলেন, ‘প্রত্যেকে শীত মৌসুমের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে, আমরা প্রার্থণা করছি যেন বৃষ্টিপাত না হয়। কারণ আমরা তাঁবুতে বাস করছি ’।

আশ্রয়কেন্দ্রের আরও এক বাসিন্দা বলেন, ‘তাঁবুটি খুব ছোট। আমরা যদি এত ছোট তাঁবুতে ১০ বা ২০ জন লোক থাকি, তাহলে প্রবল বাতাস এবং বৃষ্টিপাত হলে টিকে থাকতে পারব না।’

গত ৭ই অক্টোবর হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর জীবন বাঁচাতে উত্তরাঞ্চল থেকে হাজার হাজার মানুষ দক্ষিণাঞ্চলে যান। তাদের অনেকেই জাতিসংঘের স্কুল বা হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছেন। গাজার ২৩ লাখ মানুষের মানবিক চাহিদার ভয়াবহ এই পর্যায়ে সহায়তাকারী সংস্থাগুলো এখন পর্যন্ত বৃষ্টি এবং বন্যার হলে তা মোকাবিলায় কোন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারেনি এখনও।