দেশে এখন
0

ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ছাত্র-জনতার

ইসরাইলের নির্বিচার হামলা ও আক্রমণের প্রতিবাদ জানিয়ে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্র-জনতা। অংশগ্রহণকারীরার বলছেন, ফিলিস্তিনিদের লড়াকু মানসিকতা সারা বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের জন্য প্রেরণা।

কেউ হয়ত পৃথিবীর আলো দেখছে বা কেউ মায়ের গর্ভে থাকতেই ইসরাইলের বর্বর হামলায় নিহত হচ্ছে। আবার আহত হয়ে অসহায়ের মত দিন পার করছে অনেক ফিলিস্তিনি শিশু।

গত বছর থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই শিশু ও নারী। বিশ্বে ইসরাইলের এই হত্যাযজ্ঞকে গণহত্যা বললেও তা বন্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। মুক্ত করা হয়নি যুগের পর যুগ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া দেশটিকে।

স্বাধীন ফিলিস্তিনির দাবি প্রতি সংহতি জানিয়ে মার্চ করে ছাত্র-জনতা। আজ (শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর) বিকালে ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল নিয়ে ভিসি চত্বর ও শহীদ মিনার হয়ে পুনরায় একই স্থানে শেষ হয় মিছিল। এসময় স্লোগানে স্লোগানে ফিলিস্তিন মুক্ত করার দাবি জানানো হয়।

মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, জুলাই বিপ্লবের অন্যতম অনুপ্রেরণা ছিল ফিলিস্তিন। সেই সাথে ইসরাইল যেভাবে মিথ্যা কথা বলে হত্যা চালাচ্ছে, ঠিক একইভাবে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা জুলাই আন্দোলনে চালিয়েছে।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনে যে রক্ত ও জীবন দেয়া হয়েছে তা ফিলিস্তিনের জন্য দিতে প্রস্তুত আছে বলে জানায় অংশগ্রহণকারীরা।

আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী একজন বলেন, ‘ফিলিস্তিনে একজনের গুলি লাগতেছে মানে আমাদের পুরো মুসলমান গোষ্ঠীর গুলি লাগছে। তাই আজকে সবাই এখানে এক হয়েছে।’

অপরদিকে ফিলিস্তিনকে মুক্ত করার বিষয়ে জাতিসংঘসহ উন্নত রাষ্ট্রগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন তারা।

আরেকজন বলেন, ‘অনেকদিনের ইস্যু এইটা। পৃথিবীর যেসব রাষ্ট্র প্রধানরা আছে তারা মুখে মুখে মানবতার কথা বলে। কিন্তু আমরা দেখে আসছি ফিলিস্তিনে কীভাবে নির্মমভাবে হত্যা ও অত্যাচার করা হচ্ছে।’

মিছিল শেষে ফিলিস্তিনকে মুক্ত করার আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয়া হয়।

সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনের ওপর চলা হত্যাকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরা হয়। সেই সাথে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারসহ অন্যান্য দেশকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।

ইএ