বিদেশে এখন
0

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা ছাড়ছেন হাজারো ফিলিস্তিনিরা

ইসরাইলি হামলা থেকে প্রাণে বাঁচতে শিশুদের নিয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে গাজার উত্তরের শহর থেকে দক্ষিণের দিকে যাচ্ছে হাজারো ফিলিস্তিনি।

গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যাত্রার একমাত্র ভরসা পিকআপ। ছোট ছোট পিকআপে গাদাগাদি করেই শহর ছাড়ছেন ফিলিস্তিনিরা।

ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও হাসপাতাল সব জায়গায় চলছে ইসরাইলি আগ্রাসন। হামাল ও ইসরালি বাহিনীর সংঘর্ষে প্রতিনিয়ত ঘটছে প্রাণহানি।

গাজার উত্তর থেকে দক্ষিণের যাওয়ার এই পথটির নাম সালাহ এডিন স্ট্রিট। উদ্বেগ উৎকণ্ঠা নিয়ে এই পথ ধরেই প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে ছুটছেন নারী, শিশু ও বয়স্করা। একমাসেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘর্ষ বন্ধে বিশ্বসম্প্রদায়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অসহায় এসব ফিলিস্তিনি নাগরিকরা।

তারা বলেন, বেঁচে থাকার মৌলিক সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত আমরা। ছোট বাচ্চারাও নিরাপদ নয়, প্রতিনিয়ত ওদের সান্ত্বনা দিচ্ছি। আরব বিশ্ব আমাদের হতাশ করেছে, তাদের সাহায্য অপ্রতুল। ইসরাইলি বাহিনী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করছে না, হামলা আগ্রাসন চলছেই। গাজায় কোথাও নিরাপদ নয়। রাস্তাঘাটে মরদেহ পড়ে আছে। পানি নেই, খাবার নেই। একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন, যুদ্ধের কোন সমাধান হবে কিনা। আমরা বাঁচবো, নাকি মারা যাবো।

এক ফিলিস্তিনি নাগরিক বলেন, ‘যুদ্ধ শুরুর পর আমরা এক শহর থেকে অন্য শহরে ছুটে চলছি, এখন দক্ষিণের দিকে যাচ্ছি। অনিশ্চিত যাত্রায় সব সময়ই মৃত্যুর ভয়ে দিন কাটছে। নিজের চোখে অনেকের মৃত্যু দেখেছি।’

আরেক ফিলিস্তিনি নাগরিক বলেন, ‘আমার বয়স ৫৯ বছর। কখনও ভাবেনি এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হব। মৃত্যুভয়, ক্ষুধা আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। বাড়িঘর, জিনিসপত্র ছেড়ে সন্তানদের নিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছি।’

ইসরাইলি সেনাবাহির তথ্য বলছে, চলমান এই সংঘাতে এরইমধ্যে গাজার উত্তর থেকে দক্ষিণে সরে গেছেন ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি।