ইসরাইলের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অভিযুক্তের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সাক্ষ্য দিলেন দায়িত্বরত প্রধানমন্ত্রী। দুর্নীতি, ঘুষ গ্রহণ ও বিশ্বাসভঙ্গের তিনটি মামলাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত দাবি করেছেন বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। অভিযোগ করেছেন, ক্যু এর মাধ্যমে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত বিরোধীরা।
পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী এই সাক্ষ্যগ্রহণ বিভিন্ন অযুহাতে অনেকবারই পিছিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয় প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবীদের পক্ষ থেকে। যদিও শুনানি চালিয়ে যান বিচারক। নিরাপত্তাজনিত কারণে তেল আবিবের জাফা ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের আন্ডারগ্রাউন্ডে চলছে বিচার কার্যক্রম।
এদিকে আদালতে নেতানিয়াহুর উপস্থিতের খবর ছড়িয়ে পড়তেই জাফা কোর্টের সামনে অবস্থান নেন সরকার বিরোধীরা। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন কয়েক হাজার মানুষ। অনেকেই নেতানিয়াহুর মুখোশ পরে হাতে জড়ান হ্যান্ডকাফ।
আন্দোলনকারীদের দাবি, এমন গুরুতর অভিযোগ ওঠার পর প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকার বৈধতা হারিয়েছেন ৭৫ বছর বয়সী এই নেতা। শুধু তাই নয়, গাজায় গণহত্যা বন্ধের পাশাপাশি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দাবি ছিল বিক্ষোভকারীদের কণ্ঠে।
একজন বিক্ষোভকারী বলেন, 'নেতানিয়াহু বধির হয়ে গেছেন। অনেক যুদ্ধ হয়েছে। গাজায় গণহত্যা বন্ধ করে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনুন। যুদ্ধ চালিয়ে যাবার ম্যান্ডেট নেই আপনার কাছে।'
অন্য একজন আন্দোলনকারী বলেন, 'নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে এই বিচার চলা জরুরি। এটি চলতে থাকলে প্রধানমন্ত্রীর ওপর চাপ প্রয়োগ করে জিম্মিদের দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।'
নেতানিয়াহুর মতো তার সমর্থকরাও মামলাগুলোকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হিসেবে দাবি করছেন। একে ইসরাইলের ইতিহাসে সবচেয়ে কট্টর ডানপন্থি সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর ষড়যন্ত্র হিসেবেও অভিযোগ করেছেন অনেকে।