যুক্তরাষ্ট্র-জাপান সম্পর্কের ওপর এমন সিদ্ধান্তের প্রভাব নিয়ে প্রেসিডেন্টের সিনিয়র উপদেষ্টাদের চাপ থাকা সত্ত্বেও বাইডেন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাইডেন প্রশাসনের দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট এ তথ্য জানিয়েছে।
কমিটি অন ফরেন ইনভেস্টমেন্ট ইন দ্য ইউএস (সিএফআইইউএস) এর আগে এ বিষয়টি বাইডেনের কাছে পাঠিয়ে অধিগ্রহণ অনুমোদন বা প্রত্যাখ্যান করবে কিনা সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিল। আগামী ২০ জানুয়ারি বাইডেন প্রশাসনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিলেন।
এর আগে ওয়াশিংটন পোস্টের আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন ব্যতীত ইউএস স্টিলের কোনো কারখানার উৎপাদন কমানো হবে না বলে ১০ বছরের নিশ্চয়তা দিয়েছিল জাপানের নিপ্পন স্টিল।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি তার প্রশাসনের দৃঢ় অঙ্গীকারের অংশ হিসাবেই এ অধিগ্রহণ চুক্তি আটকে দিয়েছেন বলে মনে করেছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে ইউএস স্টিলের পক্ষ হতে দেয়া এক বিবৃতি বলা হয়, অধিগ্রহণ চুক্তি অনুমোদিত হলে মার্কিন অর্থনীতি আরো শক্তিশালী হবে। তবে নিপ্পন স্টিল এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
উল্লেখ্য, বিশ্বের দুই প্রধান ইস্পাত প্রস্তুতকারক ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে এই অধিগ্রহণ চুক্তিটি করেছিল।