মাত্র ২৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার বিনিয়োগে ফেরত এলো ১৩ হাজার কোটি ডলার। সঙ্গে জুটেছে সরকারি দপ্তরের দায়িত্ব। বলছি বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের কথা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে প্রচারণায় কোনো কমতি রাখেননি মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবসায়ী। পরিশ্রমের সুফলও মিলছে হাতেনাতে। ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ৪০০ বিলিয়ন বা ৪০ হাজার কোটি ডলারের সম্পদ গড়লেন মাস্ক। বর্তমানে ৫৩ বছর বয়সী এই ব্যবসায়ীর সম্পদ ছাড়িয়েছে ৪৪ হাজার কোটি ডলার। আর রেকর্ড ছয় হাজার ২০০ কোটি ডলার সম্পদ বেড়েছে শুধু গতকালই (বুধবার, ১১ ডিসেম্বর)।
মাস্কের সম্পদ উত্থানের পেছনে কাজ করেছে স্পেস এক্সের বাজারমূল্য বৃদ্ধি। চলতি বছর দুই হাজার কোটি ডলার বেড়ে প্রতিষ্ঠানটির বাজারমূল্য দাড়িয়েছে ৩৫ হাজার কোটি ডলার। পাশাপাশি পুঁজিবাজারে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলার শেয়ারমূল্য বেড়েছে ৬৫ শতাংশ, যা ইতিহাস সর্বোচ্চ।
ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্প প্রশাসনে যুক্ত হওয়ায় চীনা বৈদ্যুতিক গাড়ির ওপর বিধিনিষেধ কঠোর করা হতে পারে। এতে বাজারে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে টেসলার মতো মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো।
বিশ্লেষকদের ধারণা, অলৌকিক ঘটনা ছাড়া বর্তমানে একক কোনো ধনকুবেরের পক্ষে ইলন মাস্ককে টপকে যাওয়া অসম্ভব। কারণ দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জেফ বেজোসের চেয়ে মাস্কের সম্পদ প্রায় দ্বিগুণ বেশি। তালিকার প্রথম ১০ ধনকুবেরের নয় জনই মার্কিন। ফরাসি বিলিওনেয়ার বার্নার্ড আর্নল্ট রয়েছেন পঞ্চম অবস্থানে।