ট্রাম্প ট্রাওয়ার লেখা বহুতল এই ভবনটি দেখা মাত্রই, যে কারোর মনে হতে পারে এটি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, কিংবা অন্যকোনো শহরের চিত্র। তবে বাস্তবে এই ট্রাম্প ট্রাওয়ারটি গড়ে উঠেছে ভারতের মহারাষ্ট্র পুনেতে। শুধু ভারতই নয়, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিয়েল এস্টেটসহ যাবতীয় ব্যবসার ডালপালা ছড়িয়ে আছে বিশ্বজুড়ে। এরমধ্যে বিলাসবহুল আবাসন ব্যবসা, গল্ফ কোর্স অন্যতম।
হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন নিশ্চিতের পর, যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ক আরও গভীর হওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প টাওয়ারের সংখ্যা ভারত টপকাতে পারে বলে মনে করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। এক যুগে, চারটি ট্রাম্প টাওয়ার তৈরি করেছে ভারতে থাকা ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিয়েল এস্টেট পার্টনার। নতুন করে মুম্বাই, পুনে এবং উত্তর গুরুগ্রাম শহরে ট্রাম্প টাওয়ার তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। পরিকল্পনা আছে নয়ডা, হায়দ্রাবাদ এবং বেঙ্গালুরুতেও টাওয়ার গড়ার।
ভারতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিয়েল এস্টেট পার্টনার কল্পেশ মেহতা বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ইতোমধ্যেই ভারতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ট্রাম্প টাওয়ার রয়েছে। আমরা আরও ছয়টি নতুন প্রকল্প নিয়ে কাজ করছি। এতে মনে হচ্ছে ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও ভারতে বেশি ট্রাম্প টাওয়ার থাকবে।’
এলিট শ্রেণীর ভোক্তাদের টার্গেট করে বিশ্বজুড়ে বিলাসবহুল আবাসন ব্যবসার সাম্রাজ্য গড়েছে ট্রাম্প অর্গানাইজেশন। লগ্নি করছে হাজার হাজার কোটি ডলার। ভারতেও প্রিমিয়াম আবাসনের চাহিদা বাড়ায় সেখানেও ব্যবসার বিস্তার বাড়াচ্ছেন ট্রাম্প।
ভারতীয় রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার অভিনন্দন লোধা বলেন, ‘সব সময়ই ডোনাল্ড ট্রাম্প ধারণা করতেন এবং আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে তার কাজ দেখে সবাই পছন্দ করবেন। আর এর জন্যই ট্রাম্প টাওয়ারে প্রিমিয়াম অ্যাপার্টমেন্ট কিনবেন। এটি আসলেই সত্যি ছিল।’
নয়াদিল্লি এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক গত এক দশক ধরেই উর্ধ্বমুখী। এমনকি ভারতের শীর্ষ রপ্তানি গন্তব্যও যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৩ সালে ওয়াশিংটনে ১২ হাজার কোটি ডলারের পণ্য ও পরিষেবা রপ্তানি করেছে দিল্লি।