রয়টার্স প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, জুলাই মাসে রপ্তানি কমার তথ্য জানানো হলেও জুন মাসের বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
তবে ইউক্রেনের এগ্রারিয়ান কাউন্সিলসহ উৎপাদনকারী বিভিন্ন গ্রুপ জানায়, দেশটি থেকে জুন মাসে ১ লাখ টনের বেশি পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে।
কিয়েভের সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় পর্যায়ের উৎপাদনকারীরা মে মাসে জানিয়েছিল যে, ইউরোপীয়ান ইউনিয়নে সে সময় চিনি রপ্তানি ২ লাখ ৬২ হাজার ৬০০ টন ছাড়িয়েছে।
এপ্রিলে ইউরোপের কৃষকদের বিক্ষোভের মুখে চিনি আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন।
কৃষকদের অভিযোগ ইউক্রেনের সঙ্গে তাদের অসম প্রতিযোগিতার মধ্যে থাকতে হচ্ছে। এছাড়াও পরিবেশ দূষণ এবং আমলাতান্ত্রিক কোনো জটিলতাতেও থাকতে হয় না ইউক্রেনকে।
ইউক্রেনের কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, জুলাই মাসে দেশটির উদ্যোক্তারা ৭৭ হাজার ৮০০ টন চিনি বিক্রি করেছে। এর মধ্যে ৬৭ হাজার ৭০০ টন অভ্যন্তরীণ এবং ১০ হাজার ৩০০ টন রপ্তানি করা হয়েছে। রপ্তানির শীর্ষে থাকা দেশগুলো হলো তুরস্ক ও লিবিয়া।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত অবস্থায় ই্উক্রেন ৫০ লাখ টন সাদা চিনি উৎপাদন করেছে। কিন্তু এরপর রপ্তানিজনিত সমস্যা আখের চিনির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারেনি দেশটি।