আন্তর্জাতিক বাণিজ্য
0

জলবায়ুর প্রভাবে অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে কানাডা

একের পর এক তাপপ্রবাহ ও দাবানলে পুড়ছে কানাডা। জনজীবনে ভোগান্তি নেমে এসেছে চরমে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলা দাবানলে এক-তৃতীয়াংশ পুড়ে ধ্বংস হয়েছে পর্যটন নগরী জ্যাসপার। জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাবে ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন দেশটি।

উষ্ণতা বাড়ায় ব্রিটিশ কলম্বিয়া, আলবার্টা, অন্টারিও, মন্ট্রিয়াল, নোভা স্কশিয়ার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে একের পর এক তাপপ্রবাহ। কানাডায় অতিবেগুনি বা ইউভি সূচক বেশি হওয়ায় সূর্যের তাপ অতিরিক্ত হয়ে ধরা দেয়। গ্রীষ্মের সূর্য থেকে নিরাপত্তা সতর্কতা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তাও তাই এখানে বেশি। কারণ দিন যতই যাচ্ছে, তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হচ্ছে জনজীবন।

স্থানীয় একজন বলেন, 'গ্রীষ্মকালে অনেক গরমের হয় এখানে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবই পড়েছে। আশা করি কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টি হবে। কিন্তু সমস্যা হলো, দাবানল নিয়ে। '

তীব্র গরমের পাশাপাশি দাবানলের আগুনেও পুড়ছে আলবার্টাসহ বেশ কয়েকটি প্রদেশ। অন্তত এক-তৃতীয়াংশ পুড়ে ধ্বংস হয়েছে পর্যটন নগরী জ্যাসপার। ভয়াবহ দাবানলে সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে শহরটির জাতীয় উদ্যানের। যা এই পার্কের ইতিহাসে ১০০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় দাবানলের ঘটনা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি পুড়ে গেছে দমকল প্রধানের বাসভবনও।

কানাডা জ্যাসপারের ফায়ার সার্ভিস প্রধান ম্যাথিউ কন্টে বলেন, 'শহরকে রক্ষা করার জন্য আমরা যা যা করতে পারি তা করছিলাম৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এতে আমার নিজের বাড়িই হারিয়েছি।'

প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলা দাবানলে জ্যাসপার থেকে সরানো হয়েছে ২৫ হাজারের বেশি পর্যটকসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের। প্রতিবছর ২০ লাখেরও বেশি পর্যটক ঘুরতে যান এই শহরে। তাই আবহাওয়ার এমন বিরূপ আচরণে অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়েছে কানাডা।

প্রতি বছরই এই সময়ে দাবানলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সৃষ্টি হয়। গেল বছরও পুড়ে ছাই হয় ৮০ লাখ হেক্টর বনাঞ্চল ও নানা স্থাপনা।

এসএস