আন্তর্জাতিক বাণিজ্য
0

কানাডায় বাড়ির দাম ও বাসাভাড়া বাড়ছে

কানাডার বড় বড় শহরে বাড়ির দাম হু হু করে বাড়ছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে ২০২৬ সাল নাগাদ উত্তর আমেরিকার দেশটিতে বাড়ি হয়ে উঠবে সোনার হরিণ। অন্যদিকে বাড়ছে বাড়ি ভাড়া। টরন্টো, ভ্যাঙ্কুভারে একরুমের সর্বনিম্ন মাসিক ভাড়া এখন ঠেকেছে বাংলাদেশি মুদ্রায় এক লাখ টাকা।

আবাসন সংকটে হিমশিম খাচ্ছেন কানাডার বাসিন্দারা। স্থানীয় নাগরিকদের চেয়ে সমস্যা প্রকট অভিবাসীদের। এ অবস্থায় দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় বাসা বাড়ি নির্মাণ প্রকল্প চালু করা হলেও ২০২৬ সালের মধ্যে তা আরও সংকটময় হবে বলে আভাস দিয়েছে কানাডা মর্টগেজ অ্যান্ড হাউজিং করপোরেশন। সংস্থাটি বলছে, বাড়ির দাম যে হারে বাড়ছে তাতে সামনের দিনে তা বেশিরভাগ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে।

কানাডার মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও সংগঠক শহিদুল ইসলাম মিন্টু বলেন, 'নতুন বাড়ির চাহিদা বাড়ছে। বাড়ির দাম  আবার বাড়বে।'

বাজার অনুকূলে রাখতে বিদেশিদের ওপর জারি থাকা নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও দুই বছরের জন্য বাড়ানো হয় চলতি বছরের শুরুতে। স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য বাড়িঘর সহজলভ্য করতে ও আকাশছোঁয়া দাম কিছুটা নাগালে ফেরাতে এই পদক্ষেপ নেয়া হলেও তাতে খুব একটি পরিস্থিতি বদলাচ্ছে না।

যারা বাড়ি কিনবেন না, ভাড়া বাসায় থাকবেন তারাও খরচের চাপে পড়েছেন। বাড়ি ভাড়াও বাড়ছে দ্রুত গতিতে। বিদ্যুৎ বিল বাড়ি ভাড়ার সঙ্গে আগে সংযুক্ত থাকলেও এখন তা আলাদা করে দেয়া হয়েছে অনেক স্থানে। মাসে একরুমের ভাড়া প্রায় এক হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা এক লাখ টাকার মতো। আয়ের বেশিরভাগ বাড়ি ভাড়ায় চলে যাচ্ছে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশির।

ইএ