আগের ভার্সনের মতো গুগলের নতুন স্মার্টওয়াচও মেরামতযোগ্য নয়। ফলে ডিসপ্লে ভেঙে গেলে বা ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেলে একমাত্র সমাধান ডিভাইস পরিবর্তন।
এদিক থেকে স্মার্টওয়াচের ডিজাইন বড় সমস্যা। এতে থাকা কার্ভড গ্লাস ডিজাইন যে কাউকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম। তবে হাত থেকে পড়ে গেলে বা হালকা আঘাতে এর ডিসপ্লে ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
অ্যান্ড্রয়েড অথরিটিকে দেয়া এক মেসেজে গুগল নিশ্চিত করেছে যে, স্মার্টওয়াচের জন্য তাদের নীতিমালায় কোনো পরিবর্তন আসছে না। এর পরিবর্তে কোম্পানি পিক্সেল ওয়াচ থ্রির জন্য নির্ধারিত কেয়ার প্রোগ্রামে যুক্ত হওয়ার জন্য ব্যবহারকারীদের পরামর্শ দিয়েছে।
দুর্ঘটনাবশত ডিভাইসের কোনো ক্ষতি হলে এ প্রোগ্রামের আওতায় কোম্পানি ৪৯ ডলার ফি গ্রহণের মাধ্যমে ওয়াচ পরিবর্তন করে দেবে। তবে নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে শুধু এ সুবিধা রয়েছে।
যেখানে গুগলের পক্ষ থেকে পিক্সেল স্মার্টফোনের জন্য সেলফ রিপেয়ার প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে সেখানে ওয়াচ সিরিজের জন্য কেয়ার প্রোগ্রাম গ্রাহকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। প্রযুক্তিবিদদের মতে, এর মাধ্যমে বড় ধরনের ইলেকট্রনিক বর্জ্যও তৈরি হচ্ছে।
স্মার্টওয়াচের সুরক্ষায় প্রটেকটিভ কেস থাকলেও তা ব্যয়বহুল এবং ঘড়ির ডিজাইনকে প্রভাবিত করে। ফলে ফিটনেস ট্র্যাকিং থেকে শুরু করে পালস ডিটেকশন টুল ফিচার থাকলেও মেরামত করার সুবিধা না থাকায় গ্রাহক আকৃষ্টে ব্যর্থ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।