কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলের নতুন মাইলফলক। এমন দ্রুতগতির চিপ আবিষ্কার করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি, যার পাশে 'অসম্ভব', 'অবিশ্বাস্য', 'অপ্রত্যাশিত', 'অকল্পনীয়' বিশেষণগুলোও ম্লান।
বলা হচ্ছে, বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুতগতির যে সুপার কম্পিউটার, সেটিও যে সমস্যার সমাধান করতে সময় নেবে কোটি কোটি বছর, অথচ পাঁচ মিনিটের কম সময়ে সেই সমস্যার সমাধান বের করতে সক্ষম নতুন চিপ। নতুন চিপের নাম 'উইলো'।
বিশ্বে এযাবৎকালের সবচেয়ে শক্তিশালী সুপার কম্পিউটার যুক্তরাষ্ট্রেরই আরেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এইচপি'র ইআই ক্যাপ্টেন। সেকেন্ডে দুই কুইন্টিলিয়ন হিসাব করতে সক্ষম ইআই। মিলিয়ন, বিলিয়ন, ট্রিলিয়ন, কোয়াড্রিলিয়ন পার করে আরও তিনটি, মোট ১৮টি শূণ্য যোগ করে হয় কুইন্টিলিয়নের হিসাব।
তাহলে নতুন আবিষ্কৃত 'উইলো' কী করবে? কুইন্টিলিয়নের পর সেক্সটিলিয়ন, তারপর সেপ্টেলিয়ন অর্থাৎ আরও ছয়টি, মোট ২৪টি শূন্য যোগ করলে এক সেপ্টেলিয়ন। গুগল বলছে, যে হিসাব করবে ইআই ক্যাপ্টেনের লেগে যাবে ১০ সেপ্টেলিয়ন বছর, সেটি করতে সর্বোচ্চ পাঁচ মিনিট সময় নেবে উইলো।
গুগল দাবি, এর মাধ্যমে মাল্টিভার্স প্যারালাল ইউনিভার্সে প্রবেশ করলো কোয়ান্টাম কম্পিউটিং। যদিও সুপারফাস্ট হলেও শতভাগ সঠিক ফল এখনও দিচ্ছে না উইলো। ভুলভাল ফল তো দেয়ই, সাথে আবার অণুর চেয়েও ক্ষুদ্র কোনো কণার উপস্থিতিতেও আটকে যেতে পারে অঙ্ক।
তবে গুগলের আশার বাণী, নতুন চিপটিকে আরও ভরসাযোগ্য করার সাময়িক উপায়ও মিলেছে। যদি ভুল উত্তর উইলো দেয়ও, খুব অল্প সময়ে তা সংশোধনও করতে পারে। যা একটি বাস্তব কোয়ান্টাম কম্পিউটার নির্মাণে বড় অগ্রগতি। ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আর ঔষধশাস্ত্রে উইলোর মতো যন্ত্র বড় অবদান রাখতে পারবে বলে আশাবাদী গুগল।
ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান্টা বারবারায় চলছে উইলোর প্রসেসর তৈরির কাজ। উইলোর কোয়ান্টাম প্রযুক্তির বিল্ডিং ব্লক অর্থাৎ কিউবাইটের সংখ্যা ১০৫টি। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলো আরও বেশি কিউবাইটযুক্ত চিপ নির্মাণের প্রতিযোগিতায় নামলেও গুগল বলছে, বাস্তবে উপযোগী ফল পেতে হলে নির্ভরযোগ্যতা বাড়ানো বেশি জরুরি।