প্রযুক্তি সংবাদ
তথ্য-প্রযুক্তি
কম্পিউটার হ্যাক হয়েছে কিনা যেভাবে বুঝবেন
আধুনিক প্রযুক্তি দিন দিন দুনিয়াকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। পৃথিবীর সবকিছু আমাদের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে। হাতে থাকা স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ থেকে নামমাত্র সময়ে প্রয়োজনীয় সকল কাজ করা যায়।

প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে সাইবার ক্রাইমের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। দিনের পর দিন এর মাত্রা বেড়েই চলছে। প্রতিনিয়ত আমরা দেখতে পাই, কারো না কারো বিভিন্ন ধরনের সোস্যাল অ্যাকাউন্ট, জি- মেইল, মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার হ্যাক করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করা হচ্ছে। এতে ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের কাছে হ্যাকাররা মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।

সাধারণত হ্যাকার সোস্যাল মিডিয়াতে অচেনা লিংক শেয়ার অথবা মুঠোফোনে অচেনা এসএমএসে স্পাম লিংক পাঠিয়ে থাকে, আমরা অবচেতন মনে ক্লিক করার পরই মুহূর্তের মধ্যে হারিয়ে ফেলি আমাদের অ্যাকাউন্ট। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের পেইড সফটওয়্যারের ক্রাক ভার্সন ডাউনলোডের মাধ্যমে স্মার্টফোন, কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার অ্যাটাক হতে পারে। যার ফলে ডিভাইসের নিয়ন্ত্রণ হ্যাকারদের হাতে চলে যেতে পারে। 

আমরা স্মার্টফোন দিনের পুরো সময় বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকি। তবে গুরুত্বপূর্ণ ডেটা সংরক্ষণের জন্য ল্যাপটপ বা পার্সোনাল কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। প্রয়োজনীয় এই ডিভাইস হ্যাক হয়েছে কিনা বা হ্যাক হওয়ার পরে করণীয় কি তা জানার জন্য দুটি সহজ পদ্ধতি ব্যবহার করে জেনে নিতে পারি। এই পদ্ধতি শুধুমাত্র কম্পিউটারে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহার করা যাবে।

প্রথমত, কম্পিউটার হ্যাক হয়েছে কিনা বুঝতে যেতে হবে রান বক্সে। অর্থাৎ কিবোর্ডে উইন্ডোজ কি’র সঙ্গে R ক্লিক করে কম্পিউটারের রান কমান্ড বক্স ওপেন হলে টাইপ করতে হবে netplwiz। কমান্ড দিলে কম্পিউটারের নেটওয়ার্ক প্লেস উইজার্ড ওপেন হবে। সেখান থেকে দেখা যাবে কম্পিউটারের ইউজার প্রোফাইল। অর্থাৎ কতজন কম্পিউটারের অ্যাক্সেস করেছে। যদি অচেনা কোনো ইউজারকে সেই তালিকায় দেখা যায় তাহলে বুঝে নিতে হবে কম্পিউটার হ্যাক হয়েছে। আর এমন দেখা গেলে দ্রুত অচেনা ইউজারকে সিলেক্ট করে রিমুভ করে দিতে হবে। নয়তো কম্পিউটারের তথ্য চুরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

রান কমান্ড বক্স।

দ্বিতীয়ত, কম্পিউটারকে আরও সুরক্ষিত রাখতে এই কমান্ড বেশ ভূমিকা রাখতে পারে। যা কম্পিউটার থেকে হ্যাকারদের রেড কার্ড দেখাতে সাহায্য করবে। এক্ষেত্রে কিবোর্ডে উইন্ডোজ কি’র সঙ্গে R ক্লিক করে রান উইজার্ড খুলতে হবে। তারপর সেখানে টাইপ করতে হবে MRT। এই কমান্ডে মাইক্রোসফটের ভাইরাস রিমুভার প্রোগ্রাম ওপেন হবে। তারপর পরবর্তী ধাপগুলো ফলো করলে এই প্রোগ্রামটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম্পিউটারে থাকা ম্যালওয়্যার ভাইরাস খুঁজে সেগুলোকে রিমুভ করে দেবে। ফলে আপনার কম্পিউটারের তথ্য চুরি হওয়ার আশংকা অনেকাংশে কমে যাবে।

ইএ