কেনা-কাটা থেকে শুরু করে আর্থিক লেনদেন, ইমেইল থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সব কিছুই জড়িয়ে আছে জীবন-জীবিকার সঙ্গে। বর্তমানে প্রযুক্তির ব্যবহার যত বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাইবার ক্রাইম।
সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন ১৩২ জনের ওপর জরিপ চালিয়েছে। এই জরিপের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার ( ২৯ জুন) 'বাংলাদেশে সাইবার অপরাধ প্রবণতা-২০২৪ শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনটি বলছে গত ১ বছরে তরুণরাই সবচেয়ে বেশি সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ৭৮.৭৮ শতাংশই ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
আইইউবি'র সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ওবায়দুল আল মারজুক বলেন, 'সাইবার ক্রাইমের ৫৯ শতাংশই নারী।'
সাইবার অপরাধের মধ্যে সব থেকে বেশি সাইবার বুলিং। ৪৬.৯১ শতাংশ মানুষ সাইবার বুলিংয়ের শিকার। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাকিংয়ের শিকার হয় ২১.৬৫ শতাংশ মানুষ। ১৪.৯৪ শতাংশ মানুষ ই-কমার্স লেনদেনে প্রতারণার শিকার হয়।
পুলিশের সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগের তথ্য মতে, ২০২৩ সালে সাইবার ক্রাইমের অভিযোগ আসে ২৮ হাজার ২১২ টি। এর মধ্যে সমাধান হয় ২১ হাজার ৮৮৯ টি। তবে ব্যাপক অভিযোগ পড়লেও মামলা করার হার মাত্র ৩.৭৩ শতাংশ। পুলিশ বলছে, সাধারণ মানুষের সাইবার সুরক্ষা আইন সম্পর্কে জানেন না। সচেতনতাই পারে সাইবার অপরাধ কমাতে।
ডিএমপি'র সাইবার ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, 'সামাজিকতার জন্য অনেকে দেরিতে রির্পোট করে। এতে এভিডেন্স ততক্ষণে মুছে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।'
বিটিআরসি'র মহাপরিচালক কাজী মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, 'সাইবার ক্রাইম হয় ব্যক্তিগত পর্যায়ে। আমাদের লোভের কারণে এইটা বেশি ঘটে থাকে। সচেতনা যত বাড়বে ক্রাইমের পরিমাণ তত কমে যাবে।'
সাইবার ক্রাইমের শিকার তরুণদের ৪২ শতাংশের পরিবার তাদের সাথে নমনীয় না হওয়ায় সাইবার অপরাধের শিকার ব্যক্তিরা মানসিক চাপে থাকেন। এমন তথ্যও উঠে এসেছে প্রতিবেদনে।