বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের। দুর্নীতির অভিযোগে মন্ত্রীত্ব হারানোর পর এবার টিউলিপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব অস্বীকার বা মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ ঘটনায় অনেকটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে কিয়ার স্টারমার প্রশাসন।
লন্ডনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক বুলবুল হাসান বলেন, ‘ধারাবাহিকভাবে মিডিয়াতে, বিশেষ করে ব্রিটিশ মিডিয়ার একটি অংশ বেশ ফলাও করে এ সংবাদগুলো প্রচার করছে এবং পার্টির ভেতর থেকেও এক ধরনের অসন্তোষ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিরোধীদলের পক্ষ থেকেও কয়েকবার এটা নিয়ে কথা বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই পুরো বিষয়টিই কিয়ার স্টারমারের জন্য বেশ বিব্রতকর। আগামী দিনগুলোতে যদি তিনি খুব কঠোর সিদ্ধান্ত নেন, আমরা খুব বেশি অবাক হবো না। তার রাজনৈতিক ভবিষ্যতই এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যাচ্ছে বলে আমার মনে হচ্ছে।’
আরও পড়ুন:
যুক্তরাজ্যের মূলধারার রাজনীতিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অভিষেক ১৯৭২ সালে। সম্প্রতি টিউলিপ সিদ্দিকসহ আরেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি রুশনারা আলীও মন্ত্রীত্ব হারান। যা বাঙালি কমিউনিটিতে অনেকটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বাজে উদাহরণ তৈরি হচ্ছে বলেও মনে করেন প্রবাসীরা।
প্রবাসীরা জানান, তাদের কমিউনিটির দুজন মন্ত্রীর এভাবে মন্ত্রীত্ব হারানোটা একটি বাজে উদাহরণ। এর কারণে বাজে ইমেজ তৈরি হয় বলেও জানান অনেকে।
এছাড়া যে ধরনের খবরগুলো পত্র-পত্রিকা বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসছে তা মোটেও ভালো কিছু নয় জানিয়ে, নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে থেকে যেকোনো ধরনের বেফাস মন্তব্য থেকে দূরে থাকার পরামর্শও তাদের।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যমের যৌথ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় টিউলিপ সিদ্দিক সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গেল প্রায় এক বছর ধরে রাজনৈতিক উদ্দেশে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ তার।





