দেশে নিষিদ্ধ, কিন্তু প্রবাসে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে সহিংসতায় জড়াচ্ছে আওয়ামী লীগ। লন্ডনে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের অনুষ্ঠানে হামলার চেষ্টা এবং নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে ভাঙচুর সবই যেন একটি পরিকল্পিত ধারাবাহিকতা।
নিউ ইয়র্কে কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে শুধু সরকারি সম্পদ নয়, হুমকির মুখে ফেলে দেয়া হয়েছে প্রবাসী নাগরিকদের নিরাপত্তাও। সেবা গ্রহণে আসা প্রবাসীদের দিকে অপমানজনকভাবে ছোড়া হয়েছে ডিম।
এবার জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের সময় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার সফর ঘিরে আবারও সরব যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। তাদের ঘোষণা, উপদেষ্টা যেখানে যাবেন, সেখানেই বিক্ষোভ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি বলছেন, এবার তারা আরও ‘ভয়ঙ্কর রূপে’ হাজির হবেন।
আগস্টের কনস্যুলেট হামলার ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নিউইয়র্ক কনসাল জেনারেল বলেন, আইন অমান্য করলে কড়া শাস্তি হতে পারে, এমনকি দেশে ফেরত পাঠানোও হতে পারে।
আরও পড়ুন:
নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেট কনসাল জেনারেল মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বিক্ষোভের ভাষাও পরিণত হতে হবে। বিদেশে যেসব বাংলাদেশি বসবাস করছেন, তারা প্রতিবাদের ভাষার সীমা অতিক্রম করবেন না। অতিক্রম করলে সেটার ফল ভোগ করতে হবে। বিভিন্ন সংস্থাগুলো আমাদের নিশ্চিত করেছে যে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং প্রয়োজনে তাদের কঠোর নীতির কারণে তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হবে।’
অন্যদিকে, প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বিমানবন্দর থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি।
যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি আতিকুল হক আহাদ বলেন, ‘অধিবেশন চলাকালীন বিক্ষোভ করে কেউ যদি বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায়, আমাদের দেশের সম্মানকে ক্ষুণ্ণ করতে চায়, তাহলে আমরা প্রবাসী এবং বিএনপি নেতাকর্মীরা সেটা শক্ত হাতে প্রতিরোধ করবো।’
দেশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ একটি সংগঠন বিদেশে কীভাবে এমন সংগঠিত সহিংসতা চালাতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রবাসীরা। তাদের মতে, লন্ডন ও নিউইয়র্কের ঘটনার পর সরকার যদি আরও কঠোর হতো, তাহলে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি নাও ঘটত।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার সফর কূটনৈতিক পরিসরে যতটা গুরুত্বপূর্ণ, রাজনৈতিক মাঠে ততটাই উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু। আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য বিক্ষোভ, নিরাপত্তা ইস্যু ও অতীত হামলার প্রেক্ষাপটে এ সফর কতটা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হবে, এটাই এখন দেখার বিষয়।





