ইতালিতে নতুন শ্রমিক নেয়ার পরিকল্পনা; জনশক্তি রপ্তানির সুযোগ বাড়ছে বাংলাদেশের

ইতালি ও ইতালিতে কর্মরত শ্রমিক
ইতালি ও ইতালিতে কর্মরত শ্রমিক | ছবি: এখন টিভি
0

আগামী তিন বছর নন-ইউরোপীয় দেশ থেকে শ্রমিক নেয়ার পরিকল্পনা করছে ইতালি সরকার। বিভিন্ন সেক্টর, সিজনাল ও নন-সিজনাল ভিসায় বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানির সুযোগ বাড়ছে।

শ্রমিক ঘাটতি মেটাতে নতুন করে ২০২৮ সাল পর্যন্ত বিদেশি কর্মী নেয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ইতালি সরকার। বিভিন্ন অঞ্চলের চাহিদা অনুযায়ী ঠিক করা হবে কোটা। যার মাধ্যমে ইতালিতে নন-ইউরোপীয় কর্মীরা নিশ্চিত করতে পারবেন কর্মসংস্থান।

প্রবাসীদের ধারণা, পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ইতালির শ্রম বাজারে প্রবেশের সুযোগ পাবে বাংলাদেশ।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে একজন বলেন, ‘ইতালিতে শ্রমিক নিয়ে আসার যে পরিকল্পনা সরকার করছে, সেটির বাস্তবায়ন হলে অবৈধভাবে ইতালিতে প্রবেশের প্রবণতা কমে যাবে এবং বৈধভাবে ইতালিতে আসার জন্য তারা আগ্রহী হবেন।’

উভয় দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির ফলে কর্মী প্রেরণের তালিকায় বাড়ছে বাংলাদেশের সুযোগ। যা কাজে লাগিয়ে দক্ষ কর্মী প্রেরণের দিকে সরকারকে মনোনিবেশ করার আহ্বান অভিবাসন বিশেষজ্ঞদের।

ইতাল-বাংলার অভিবাসন বিশেষজ্ঞ শাহ তাইফুর রহমান ছোটন বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে যেকোনো কর্মী যখন ইতালি বা ইউরোপে আসবে, তখন তাদের যেন প্রয়োজনীয় কারিগরি বা ভাষাগত প্রশিক্ষণ দিয়ে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাওয়ার ছাড়পত্র দেয়া হয়। অন্যথায় বর্তমানে যে সমস্যা আছে সেটি অব্যাহত থাকবে।’

সার্ভিস ইতালির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনির বলেন, ‘ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেছেন এবং বর্তমান সরকারের সাথে কিছু চুক্তি হয়েছে। আমি মনে করি এর ফলে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক আসার সুযোগ বাড়বে।’

সিজনাল ও নন-সিজনাল ভিসায় কৃষি, হোটেল ও ট্যুরিজম খাতে কর্মী নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি অগ্রাধিকার পাবেন বাড়ির সহায়কসহ নির্মাণ খাতের শ্রমিক। 

ইতালি সরকারের নীতি অনুযায়ী সতর্কতা ও প্রতারণা রোধে বাড়ানো হবে অ্যান্টি-ফ্রড চেক। ফলে বাংলাদেশিদের জন্য প্রতারণা চক্রের প্রভাবের পাশাপাশি কমবে ভোগান্তি। বড় হবে শ্রমবাজার, বাড়বে রেমিট্যান্স প্রবাহ। এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এসএইচ