মালয়েশিয়ায় থাকা অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে ফিরতে প্রত্যাবাসন কর্মসূচির মেয়াদ শেষ হয় গত বছরের ডিসেম্বরে। তবে ওই সময়ের মধ্যে যারা অনলাইনে নাম নিবন্ধন করেছেন এবং কোনো কারণবশত ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট বিভাগে উপস্থিত হতে পারেননি এমন অভিবাসীদের প্রত্যাবাসনে সম্প্রতি ২১ মার্চ পর্যন্ত সুযোগ দেয়ার ঘোষণা দেয় মালয়েশিয়া সরকার।
এই সুযোগ দিলেও সার্বিকভাবে অবৈধ অভিবাসী আটকে তল্লাশি অভিযান জোরদার করেছে মালয়েশিয়া। দেশটির অভিবাসন বিভাগের নেতৃত্বে প্রতিদিনই চলছে যৌথ বাহিনীর অভিযান। অভিভাসী অধ্যুষিত বিভিন্ন হটস্পটে চালানো হচ্ছে ঝটিকা তল্লাশি। ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অবৈধভাবে বসবাস করা অভিবাসীদের। এ তালিকায় আছেন অনেক বাংলাদেশিও।
এদিকে অবৈধ বিদেশিদের তথ্য দিতে স্থানীয়দের আহ্বান জানাচ্ছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। কর্তৃপক্ষের এমন কঠোর পদক্ষেপের ফলে অবৈধরা চাকরি থেকেও বরখাস্ত হচ্ছেন। এমনকি গেলো বছর বন্ধ হওয়া কলিং ভিসায় আসার পরও, কাজ না পেয়ে দেশে ফিরতে হয়েছে অনেকেই। কেউ কেউ কাজের সুযোগের আশায় ঝুঁকি নিয়ে রয়ে গেছেন অবৈধ হয়েই। এ অবস্থায় নতুন করে বৈধতার সুযোগের আশায় মালয়েশিয়ার সঙ্গে ঢাকার কূটনৈতিক তৎপরতা শুরুর অনুরোধ প্রবাসীদের।
কেবল অবৈধরাই নয়, ভিসা শর্ত লঙ্ঘনকারীদেরও আনা হচ্ছে আইনের আওতায়। অপরাধ ভেদে সাজার মুখোমুখি করা হচ্ছে কর্মী ও নিয়োগকর্তাকেও। বিভিন্ন সময় আটক হয়ে কারাভোগের পর সম্প্রতি ২৩ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া। দেশে ফেরত যাওয়ার এমন ঝুঁকি থেকে মুক্তি পেতে অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান প্রবাসীরাদের। এতে রেমিট্যান্স প্রবাহ গতি কমার ঝুঁকি কমবে বলেও মত তাদের।