নিশ্চিত সুন্দর ভবিষ্যতের আশায় যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানো অভিবাসীদের অস্থায়ীভাবে বসবাস ও কাজের বৈধতা দিতে ২০২২ সালে সিএইচএনভি প্রোগ্রাম শুরু করেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই প্রোগ্রামের আওতায় ৫ লাখ ৩০ হাজার অভিবাসীকে জায়গা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
কিন্তু দ্বিতীয় মেয়াদে গেল ২০ জানুয়ারি শপথ নিয়ে হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তনের পর এই প্রোগ্রাম বাতিল করেন নয়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর জেরে, মার্কিন নাগরিকের স্পন্সরশিপ নিয়ে ২ বছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বসবাস ও কাজের সুযোগ হারানোর শঙ্কায় পড়েন অভিবাসীরা।
এবার কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া ও ভেনেজুয়েলা থেকে আসা ৫ লাখের বেশি অভিবাসীকে দেশ ছাড়ার আল্টিমেটাম দিয়েছে নয়া ট্রাম্প প্রশাসন। হোয়াইট হাউসের তথ্য বলছে, আগামী ২৪ এপ্রিলের মধ্যে এই অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। শুক্রবার (২১ মার্চ) বাইডেন প্রশাসনের এই সিএইচএনভি প্রোগ্রামের ব্যর্থতা নিয়ে প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি।
বিবিসির তথ্য বলছে, সিএইচএনভি প্রোগ্রামের আওতায় সর্বোচ্চ সংখ্যক ২ লাখের বেশি অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন হাইতি থেকে। ভেনেজুয়েলা থেকে এসেছেন ১ লাখ ২০ হাজার অভিবাসী। বাকি ২ লাখ এসেছেন কিউবা ও নিকারাগুয়া থেকে। এছাড়া, রুশ আগ্রাসন শুরুর পর পালিয়ে আসা আড়াই লক্ষ ইউক্রেনীয় নাগরিকের যুক্তরাষ্ট্রে অস্থায়ী বসবাসের আইনি বৈধতা বাতিলের কথাও ভাবছে ট্রাম্প প্রশাসন।
এদিকে, শুক্রবার ওভাল অফিসে প্রতিরক্ষা দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকের পর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধবিরতির বিষয়ে নতুন করে আশ্বাস দিয়েছেন ট্রাম্প। বলছেন, অচিরেই দুই দেশের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ অস্ত্রবিরতি কার্যকর হবে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে অস্ত্রবিরতি কার্যকরের কথা চলছে। এখনও পর্যন্ত আলোচনায় ভালোই অগ্রগতি এসেছে। সমস্যা হচ্ছে ইউক্রেন ও রাশিয়ার সেনারা একে অন্যের দিকে বন্দুক তাক করে রেখেছে। কিন্তু সবাইকে বলছি, আমাদের ওপর আস্থা রাখুন, অচিরেই পূর্ণাঙ্গ অস্ত্রবিরতি কার্যকর হবে।’
এদিন, বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনার কথা জানান ট্রাম্প। পাশাপাশি নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত সংবাদের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।
তিনি বলেন, শুক্রবার পেন্টাগনে উপদেষ্টা ইলন মাস্কের বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল ফেডারেল ব্যয় কমানোর বিষয়ে আলোচনা করা। কিন্তু মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর চীনের সাথে সংঘাতে জড়ানোর পরিকল্পনা করছে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি ডোনাল্ড ট্রাম্পের।