অর্থনীতি
প্রবাস
0

সরকার পতনের পর বেড়েছে বৈধপথে রেমিট্যান্স, শীর্ষে আমিরাতের প্রবাসীরা

ক্ষমতার পালাবদলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের পর থেকেই দেশে বেড়েছে বৈধপথে রেমিট্যান্সের প্রবাহ। চলতি মাসের প্রথম ১৭ দিনে দেশে এসেছে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা। বৈধভাবে বৈদেশিক রাজস্ব পাঠানোতে শীর্ষে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাংলাদেশি প্রবাসীরা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রবাসীদের জন্য কার্যকরভাবে সুযোগ-সুবিধা বাড়ালে রেমিট্যান্স আরও বাড়বে বলে মত তাদের।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চাপ তৈরির কৌশল হিসেবে গেলো মাসে রেমিট্যান্স পাঠানো প্রায় বন্ধ করে দেন বিভিন্ন দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বিশেষ করে দেশজুড়ে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্নের পর চরমে ওঠে প্রবাসীদের ক্ষোভ। এর প্রভাবে জুলাই মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল রেকর্ড নিম্নমুখী, যে ধারাবাহিকতা বজায় ছিল চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেও।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে পাল্টে যায় চিত্র। বৈধপথে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ বেড়ে আগস্টের প্রথম ১৭ দিনে এসেছে ১৩ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা।

একজন প্রবাসী বলেন, 'সরকার পতনের পরপরই আমরা রেমিট্যান্স পাঠাতে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছি। আমি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছি।'

গেলো কয়েক বছর ধরে বৈধপথে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর দিক থেকে শীর্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাংলাদেশি প্রবাসীরা। জুন মাসে দেশটি থেকে ৫৩ কোটি ডলারের বেশি প্রবাসী আয় বাংলাদেশে এলেও এক মাসের ব্যবধানে নেমে আসে ৩৪ কোটি ডলারের নিচে। আর আগস্টের প্রথম আটদিনে রেমিট্যান্স আসে আড়াই কোটি ডলারেরও কম। তবে, সরকার পরিবর্তনের পরের নয়দিনে যা গিয়ে ঠেকে আগের সপ্তাহের তুলনায় তিন গুণের বেশি।

প্রবাসীরা বলছেন, বিমানবন্দরে হয়রানি বন্ধ, লাগেজ গ্রহণে উন্নত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত, বিমান টিকিটের মূল্যহ্রাসসহ অন্তর্বর্তী সরকার প্রবাসীবান্ধব কার্যকর কর্মপরিকল্পনা হাতে নিলে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বাড়বে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, দেশে প্রবাসী আয় পাঠানোতে বিশ্বের ৩০ শীর্ষ দেশের তালিকায় চলতি অর্থবছরেও প্রথম স্থান ধরে রেখেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত বাংলাদেশিরা। আরব আমিরাত থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রবাসীরা ৪৬৩ কোটি ৫৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠান। আর ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রথম মাসেই পাঠিয়েছেন ৩৩ কোটি ২৫ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।

tech