প্রবাস
0

মালয়েশিয়ায় শাক-সবজির খামারের দিকে ঝুঁকছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা

কর্মসংস্থানের উদ্দেশে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়ে ব্যবসায়িক খাতে বিনিয়োগ করছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। কাজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিজেরাই হচ্ছেন উদ্যোক্তা। দেশটির জলবায়ু ও আবহাওয়া কৃষি বান্ধব হওয়ায় শাক-সবজির খামারের দিকে ঝুঁকছেন অনেকেই। দেশটিতে কৃষি পণ্যের যোগানের পাশাপাশি লাভের টাকা দেশে পাঠিয়ে পাশে দাঁড়াচ্ছেন পরিবারের।

২০১৩ সালে বাংলাদেশের নরসিংদী থেকে মালয়েশিয়ায় যান শরীফ মিয়া। শুরুতে নির্মাণ শ্রমিক পরে কাজ করেন স্থানীয় রেঁস্তোরাতে। তবে বরাবর স্বপ্ন দেখতেন নিজের মতো করে কিছু করবেন। শুরু থেকেই ব্যবসার দিকে ঝোঁক ছিল শরীফের।

একসময় গাড়ি চালানো শিখতে শুরু করেন শরীফ। এতে যোগাযোগ বাড়তে থাকে তার। সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন উদ্যোক্তাদের ভিডিও দেখে সিদ্ধান্ত নেন এবার নিজের মতো করে কিছু করবেন। শুরুতে সবজি আনা নেয়ার কাজ করলেও একসময় নিজেই তৈরি করেন শাকসবজির খামার। চাষ করছেন করলা, কাঁকরোল, পটল, শসাসহ নানা জাতের সবজি। বিদেশের মাটিতে দেশীয় শাক-সবজির চাষ করে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন নতুন উদ্যমে।

মালয়েশিয়ার কৃষি উদ্যোক্তা শরীফ মিয়া বলেন, 'ব্যবসায় যে টাকা লাভ হয় তা দেশে পাঠায় ও এখানে নতুন বিজনেসে ইনভেস্ট করি।' 

মালয়েশিয়ার জলবায়ু ও আবহাওয়া কৃষিবান্ধব হওয়ায় এ খাতে বিনিয়োগ করে লাভবান হচ্ছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশিদের খামারে উৎপাদিত শাক-সবজি পৌঁছে যাচ্ছে রাজধানী কুয়ালালামপুরের নামি সুপারশপ থেকে শুরু করে ছোট-বড় দোকানেও ।

ভিনদেশের মাটিতেও সোনা ফলাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতেও রাখছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। অন্যদিকে কৃষিপণ্যের আমদানি নির্ভরতা কমছে মালয়েশিয়ার। আর প্রবাসীর কষ্টার্জিত অর্থ রেমিট্যান্স হয়ে এগিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতিকেও।

ইএ