বাংলাদেশের আবাসন, তৈরি পোশাক, পাট, ব্যাংকিং, খাদ্যপণ্য, কৃষি, পর্যটন খাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে মূলত এ মেলার আয়োজন। কাতারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ব্যবসায়ীদের সংযোগ তৈরি করে দেয়ার আশ্বাস রাষ্ট্রদূতের।
মেলার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে তৈরি পোশাক ও পাটজাত পণ্যের বাজার ধরার লক্ষ্য বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের। ইতোমধ্যে গ্রাহকদের ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের একজন বলেন, 'আমরা বহির্বিশ্বের মাঝে বাংলাদেশের জুট শিল্পকে আরও বেশি করে ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছি।'
আরেকজন বলেন, 'এখান থেকে আমরা কাষ্টমারদের ফিডব্যাক পাচ্ছি। আমরা দূতাবাসের মাধ্যমে সহযোগিতা নিয়ে রপ্তানি করার ব্যবস্থা করবো।'
ইউরোপ ও আমেরিকার বাজার দখল করলেও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো প্রচারের অভাবে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক। তাই কাতারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ব্যবসায়ীদের সরাসরি সংযোগ তৈরি করে দেয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।
কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম বলেন, 'আমরা চাহিদা অনুযায়ী বিদেশের মার্কেটে তাদের পণ্য রপ্তানি করার ব্যবস্থা নিবো।'
বেশ কিছু আবাসন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রবাসীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ ওঠায় সাড়া নেই এই খাতে। এতে গ্রাহক হারাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে আবাসন নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান। তবে, পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায় কাতারে এগিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশিরা।
দুই দেশের মধ্যকার ব্যবসায়িক সম্ভাবনা ও বিনিয়োগের ওপর প্রতিদিনই অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেমিনার ও বিজনেস টক।