ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশির বাস ইতালিতে। গত বছরের ২৭ অক্টোবর রোমে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং ৩১ অক্টোবর মিলানে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে শুরু হয় জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা কার্যক্রম।
প্রতিদিন এনআইডি নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন ২০ জন প্রবাসী বাংলাদেশি। এখন পর্যন্ত ১১শ'র বেশি আবেদন জমা পড়েছে। তবে সনাক্তকরণ জটিলতায় পড়ছে অনেক রেমিট্যান্স যোদ্ধার এনআইডি আবেদন। প্রবাসে সংশোধনের সুযোগ না থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা। যে কারণে আবেদনের সংখ্যা বাড়লেও, মাত্র দেড়শতাধিক স্মার্টকার্ড এসে পৌঁছেছে ইতালিতে।
ইতালিতে বসবাসকারী প্রবাসীর সংখ্যা।
প্রবাসীরা বলেন, 'আমরা যখন আমাদের পাসপোর্ট করি তখন অনেক যাচাই বাচাই করেই করা হয়। সেক্ষেত্রে আমাদের পাসপোর্টের উপর ভিত্তি করে এনআইডি কার্ড দেওয়া হয়, তাহলে আমি মনে করি আমাদের জন্য অনেক সুবিধা হতো।'
আরেকজন বলেন, 'এনআইডিতে কোনো ধরনের ভুলত্রুটি থাকলে সেটা যেন অ্যাম্বাসির পক্ষ থেকে সংশোধন করা হয়। '
এ অবস্থায় এনআইডি'র জন্য আবেদন প্রক্রিয়া আরও সহজ করার আশ্বাস দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার। এছাড়া প্রবাসেই এনআইডি সংশোধনের সুযোগ তৈরির কথাও জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, 'আমি এতটুকু বলতে পারি যে এই তথ্য দেশে গিয়ে নিশ্চয়ই আমার কমিশনে উত্থাপন করবো এবং আলোচনা করে কীভাবে দূর করা য়ায় এইটার ব্যবস্থা নিবো।'
এনআইডি পেতে প্রবাসীদের যেন ভোগান্তি ও অহেতুক দেরি না হয় সেজন্য কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রদূত। পাশাপাশি যাদের স্মার্টকার্ড ইস্যু হয়েছে দ্রুত তা সংগ্রহের আহ্বান জানান তিনি।
ইতালির রোমের বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মো: মনিরুল ইসলাম বলেন, 'যারা এনআইডি এখনো করেননি তারা আসুন এবং এনআইডি সংগ্রহ করুন। আমরা আপনার জন্য প্রস্তুত থাকবো যেন আপনারা সহজেই এটা করতে পারেন।'
জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য তথ্য সরবরাহের জটিলতা কমলে এবং প্রবাসেও সংশোধনের ব্যবস্থা থাকলে ইতালিতে এনআইডি আবেদনের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন প্রবাসীরা।