বিনা খরচে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন কর্মীরা

0

মাসে অর্ধলক্ষ টাকা বেতনে পঞ্চম ধাপে বিনা খরচে মালয়েশিয়ায় যাচ্ছেন আরও ৫০ জন বাংলাদেশি কর্মী। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন তারা। এ দিন সকালে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মীদের পাসপোর্ট, ভিসা ও বিএমইটির ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড তুলে দেন প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

প্রবাসী আয়ের বড় উৎস মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। গত বছরের জুনে প্রথমবারের মতো ২০জনকে বিনাখরচে মালয়েশিয়ায় পাঠায় সরকার। উচ্চ অভিবাসন ব্যয় রোধে আইএলও ফেয়ার রিক্রুটমেন্ট ইনিশিয়েটিভ এর আওতায় মালয়েশিয়ার কিছু কোম্পানি জিরো কস্ট মাইগ্রেশন পদ্ধতিতে কর্মী নিয়োগ দিচ্ছে।

এই প্রক্রিয়ায় আগস্টে দ্বিতীয় ধাপে ৩১, ডিসেম্বরে তৃতীয় ধাপে ৬৫ এবং চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে চতুর্থ ধাপে ৬৯ জনকে বিনা খরচে মালয়েশিয়া পাঠানো হয়। এই প্রক্রিয়ায় বিদেশগামী কর্মীদের পাসপোর্ট থেকে শুরু করে ইমিগ্রেশন ও ভিসা ফি, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ইন্স্যুরেন্স ও বাসস্থানসহ সব খরচ বহনের দায়িত্ব নেয় মালয়েশিয়ার নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান।

এরই আওতায় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর উদ্যোগে ৫ম বারের মতো আরও ৫০ জন কর্মীকে মালয়েশিয়া পাঠাচ্ছে সরকার। মন্ত্রণালয়ের হলরুমে মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের পাসপোর্ট, ভিসা ও বিএমইটির ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড তুলে দেন মন্ত্রী।

বিনা খরচে বিদেশ যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় খুশি বিদেশগামী কর্মীরা। তাদের একজন জানান, 'সেখানে কি কাজ হবে তা এইচ আর ম্যানেজার নিজে এসে দেখে গিয়েছে এবং কোম্পানি আমাদের যাতায়াতবাবদ তিন হাজার টাকা করে দিয়ে গিয়েছে। আশা করি পরবর্তীতেও এভাবে বিনা খরচে লোক নেবে।'

সুবিধাভোগী কর্মীদের নিষ্ঠার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান বায়রার মহাসচিব আলী হায়দার। তিনি বলেন, 'আমরা যারা এ সেক্টরে উদ্যোক্তা এবং আমাদের কর্মী ভাইদের সবারই প্রচেষ্টায় স্মার্ট বাংলাদেশের বিনির্মাণ সফল হবে।'

আগামীতে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানিই হবে দেশের বড় বিনিয়োগ। তাই কর্মীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে ট্রেনিং সেন্টার করা হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

দেড় হাজার রিঙ্গিত বেতন ও ২ ঘণ্টা ওভারটাইমে একজন কর্মী মাসে আয় করবেন প্রায় ৫০ হাজার টাকা।

এসএস