কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনার শিকার প্রবাসীরা

প্রবাসীরা
প্রবাসীরা | ছবি: সংগৃহীত
0

প্রবাসে নানা কারণেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশিরা। এতে অঙ্গহানি ছাড়াও মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। মালয়েশিয়ায় ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা থাকলেও অবৈধরা তা পায় না।

উন্নত জীবন আর আর্থিক মুক্তির আশায় প্রতিবছর বিদেশে পাড়ি জমানো বহু বাংলাদেশি । মালয়েশিয়াতেও কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে ১০ লাখের বেশি বাংলাদেশি । প্রবাসের এই কর্মযজ্ঞে দুর্ঘটনায় পড়েন অনেকে। এতে অঙ্গহানি ছাড়াও ঘটে প্রাণহানির ঘটনাও । দেশটিতে সম্প্রতি মাটি চাপায় প্রাণ হারিয়েছেন তিন বাংলাদেশি । এর কয়েকদিন আগে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু খবর বেশ আলোচনায় আসে ।

বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে নিহত প্রবাসীদের বেশিরভাগেরই বয়স ২০ থেকে ৪০ এর মধ্যে। যাদের বেশিরভাগই কর্মস্থলে দুর্ঘটনা, হৃদ্‌রোগ, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ও আত্মহত্যায় মারা যান।

একদিকে অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয় অন্যদিকে পারিবারিক নানা দুশ্চিন্তার কারণ। এসব নিয়ে বেশিরভাগ সময়ই মানসিক চাপে থাকতে হয় প্রবাসীদের। কাজের দক্ষতা না থাকলে চাপে পড়তে হয় কর্মস্থলেও। তবে সবকিছু পেছনে ফেলে কাজের ঝুঁকি মোকাবিলায় সচেতন থাকার পরামর্শ প্রবাসী বাংলাদেশিদের ।

কর্মস্থলে দুর্ঘটনা এড়াতে ও বিদেশি কর্মীদের স্বাস্থ্যসম্মত আবাসন নিশ্চিতে কঠোর নীতির চর্চা করে কুয়ালালামপুর সরকার। রয়েছে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থাও । তবে সেসব নীতি পাশ কাটিয়ে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা । এসব ঘটনায় নিয়োগকর্তা ও নিরাপত্তা কর্মীদের উদাসীনতাসহ কর্মীদের অসাবধানতাকেই দায়ী করছেন মালিকপক্ষ।

কর্মস্থলের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা স্থানীয় একটি সংস্থা মনে করে, কর্মীদের বিপদ শনাক্তকরণে, ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কঠোরভাবে অনুশীলন করতে হবে। এতে নিয়োগকর্তারা কর্মক্ষেত্রের ঝুঁকি কমিয়ে নিরাপত্তা বাড়াতে পারবেন । স্বাস্থ্যজনিত রোগ এড়াতে বছরে অন্তত একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষারও পরামর্শ তাদের।

এসএসএস