কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওষুধ কেনাকাটায় কোটি কোটি টাকার অনিয়ম- এমন তথ্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসে। এ সূত্রেই দুদকের একটি দল কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন স্টোর রুম ও পরিচালকের কার্যালয়ে অনুসন্ধান চালায়।
এ সময় তারা পরিচালক কার্যালয়ের বিভিন্ন নথিপত্র, ওষুধের স্টোর রুমের মজুদ ও কেনাকাটা সংক্রান্ত ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে কথা বলেন।
এছাড়াও অনিয়মের বিষয়ে তারা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. মাসুদ পারভেজের থেকে অভিযোগের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন ও নথি তলব করেন।
আরও পড়ুন:
দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক নাজমুল হাসান বলেন, ‘তিনটি ওষুধ কেনাকাটার কার্যাদেশ ও ক্রয় সংক্রান্ত নথিপত্র যাচাই করা হয়েছে। এতে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধানের জন্য দুদকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আবেদন করা হবে।’
তিনি জানান, সম্প্রতি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওষুধ কেনাকাটায়, পেনটোথাল সোডিয়াম ইনজেকশন কিনতে ১০১ টাকার ক্রয় খরচের বিপরীতে ১২৯৯ টাকা খরচের অনিয়ম উঠে এসেছে। এতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার মো. মাসুদ পারভেজ, কুমিল্লা মহানগর ড্যাব সভাপতি এম এম হাসানসহ ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে।
এছাড়া অনিয়মের ঘটনায় ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) নেতৃবৃন্দের সংশ্লিষ্টতা থাকায় কেন্দ্রীয় ড্যাব থেকে কুমিল্লা জেলা, মহানগর ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের অপসারণের দাবি তোলে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।





