জন্মের পর থেকেই শ্বাসকষ্ট, ওজন না বাড়া, বমি হওয়াসহ নানান সমস্যা লেগে থাকে অনেক শিশুর। সুস্থতার জন্য ইন্টারভেনশনের মাধ্যমে হার্টে ডিভাইস বসানোতে খরচ হয় দেড় লাখ টাকা। সে টাকা যোগাতে না পারায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আটকে যায় অনেক শিশুর জীবন। এসব শিশুর চিকিৎসায় এগিয়ে আসে কাতার চ্যারিটি।
এক শিশুর বাবা বলেন, 'আমারে ছেলের কোনো উন্নতির লক্ষণ ছিল না, খেলে বমি করতো। সবসময় দুর্বল থাকতো। অসুস্থ থাকে বেশি।'
বিভিন্ন গবেষণা বলছে বাংলাদেশে প্রতি হাজারে ২০ থেকে ২৫ জন শিশু জন্মগত হৃদরোগের শিকার। এবং এসব রোগীদের বেশিরভাগ পরিবারই অর্থনৈতিকভাবে অস্বচ্ছল। জন্মগত হৃদরোগ আছে এমন অসহায় ১০০ জনের হার্টে ইন্টারভেনশনের মাধ্যমে সর্বাধুনিক সেবা নিশ্চিত করছে এই সংস্থাটি।
বছরজুড়ে যেসব রোগী টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল অগ্রাধিকার পাচ্ছে তারাই। বিনামূল্যে দেড় থেকে দু'লাখ টাকার সেবা পেয়ে সন্তানের জীবন বাঁচাতে পেরে আনন্দিত রোগীর স্বজনরা।
এক শিশু রোগীর বাবা বলেন, 'আমরা যারা মধ্যবিত্ত পরিবারের আছি আমাদের জন্য এ টাকা খরচ করা অনেক। তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। টাকার দিক থেকে আমি অনেক সন্তুষ্টবোধ করছি।'
রোগীর সমস্যা অনুযায়ী হার্টে ডিভাইস স্থাপন শেষে প্রত্যেকেই সম্পূর্ণ নতুন জীবন পাবে বলে জানিয়েছেন, কনজেনিটাল হার্ট ডেস্ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নুরুন্নাহার ফাতেমা। তিনি বলেন, 'গড়ে ২ লাখ টাকার মতো পরে। এ চার্জটাও তারা দেবে সাথে। রোগীর শরীরে যেগুলো লাগানো হচ্ছে সেগুলো অনেক দামি।'
এই হেলথ ক্যাম্প বাস্তবায়নে নামমাত্র খরচে শয্যা, ক্যাথল্যাব ও এইচডিইউ ব্যবহারের সুযোগ করে দেবার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের চেয়ারম্যান অর্ধাপক ডা. এস এ খান।
নিয়মিতভাবে বাংলাদেশে এই সেবা দিতে পেরে আনন্দিত বিদেশি চিকিৎসকরাও। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ১০ দিনের হেলথ ক্যাম্প শেষ হবে আজ শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি)।