স্বাস্থ্য
0

রাজশাহীতে দুই শিশুর মৃত্যু: তদন্তে আইইডিসিআর'র প্রতিনিধি দল

রাজশাহীতে অজানা কারণে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে কাজ শুরু করেছে আইইডিসিআর'র তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। হাসপাতালের আইসোলেশানে থাকা ওই শিশুদের বাবা-মাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় আইইডিসিআরের মেডিকেল অফিসারসহ তিন সদস্য হাসপাতালে আসেন। পরে সেখানে আইসিইউ ইনচার্জের সাথে সাক্ষাৎ শেষে হাসপাতালের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে আইসোলেশনে থাকা নিহত দুই শিশুর বাবা মনজুর রহমান ও পলি খাতুনের সাথে কথা বলেন।

তদন্ত দলের সদস্য আইইডিসিআর'র রোগতত্ত্ববিদ ডা. ক্য থোয়াই প্রু প্রিন্সের নেতৃত্বে দলটি হাসপাতাল পরিচালকের কাছ থেকেও বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে। তারা জানান, মাঠ পর্যায়ের কাজ শেষে আইইডিসিআর পরিচালকের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

ডা. ক্য থোয়াই প্রু প্রিন্স আরও বলেন, ‘তদন্ত কাজ চলমান আছে, আমরা এখন মন্তব্য করতে পারবো না। আমরা যেভাবে পাবো অথরিটিকে সেভাবে জানাবো।’

পরে তদন্ত দলের সদস্যরা হাসপাতাল থেকে ঘটনাস্থল সারদা ক্যাডেট কলেজ স্টাফ কোয়ার্টারে যান।

হাসপাতাল পরিচালক বলেন, অজ্ঞাত ভাইরাসে মৃত্যু নিয়ে উদ্বিগ্নতা কাটাতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন তারা। নিপাহ না হলেও ভাইরাস শনাক্ত ও কোনো বিষক্রিয়ার মৃত্যু হয়েছে কিনা জানতে মৃত দুই শিশুর পাকস্থলী সংগ্রহ করা হয়েছে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম আহম্মেদ বলেন,‘বাচ্চা মারা গেছে, তার পাকস্থলী যেটা আমরা আগে থেকে রেখে দিয়েছি। সেটা আমরা ঢাকায় পাঠাবো, বিষক্রিয়া কিনা তার পরীক্ষাও করবো।'

রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক মনজুর রহমানের দুই বছরের কন্যা মারিশা স্বাভাবিক জ্বর ও বমিতে মারা যায়। এর তিনদিন পর ৫ বছরের কন্যা মাশিয়াও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। পরে চিকিৎসকরা আইইডিসিআরে নিপাহ ভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠায়।

রাজশাহীর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শুধুমাত্র এই দুই শিশুর অজানা কারণে মৃত্যু হয়নি। গেল ২৪ জানুয়ারি আবু আফজাল নামে ৪৫ বছরের এক বৃদ্ধেরও মৃত্যু হয়। সেটিও বলা হয়েছিল নিপাহ ভাইরাসের কারণে মৃত্যু হতে পারে, তবে তার পোস্টমর্টেম রিপোর্টে দেখা যায় অজানা কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

ইএ