সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সেন্টেন্সিং গাইডলাইনসের ৬১৪ নম্বর সংশোধনীতে ‘অ্যাগ্রাভেটেড অ্যাসল্ট’ বা গুরুতর হামলার সংজ্ঞায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ সংশোধনীতে বলা হয়েছে, কোনো হামলাকে গুরুতর তখনই বলা হবে, যখন শারীরিক আঘাত করার উদ্দেশে বিপজ্জনক অস্ত্র ব্যবহার করা হবে; হামলায় গুরুতর শারীরিক আঘাত ঘটানো হবে; অন্য কোনো গুরুতর অপরাধ করার চেষ্টা থাকবে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনটি এসেছে বিপজ্জনক অস্ত্রের সংজ্ঞায়। এখন থেকে শুধু অস্ত্রই নয়; বরং গাড়ি, চেয়ার বা বরফ ভাঙার শলাকার মতো সাধারণ বস্তুও বিপজ্জনক অস্ত্র হিসেবে গণ্য হবে, যদি তা আঘাত করার উদ্দেশে ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন:
এ সংশোধনী একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়েছে, যা অতীতে বিভিন্ন আদালতে দেখা গিয়েছিল। আগে প্রশ্ন ছিল, যদি কোনো অপরাধে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়, তবে সেই একই অপরাধের জন্য সাজা দু’বার বাড়ানো বৈধ কি না! যেমন: কেউ যদি চেয়ার দিয়ে আঘাত করে, তবে কি চেয়ারকে ‘বিপজ্জনক অস্ত্র’ হিসেবে গণ্য করে একবার এবং আবার ‘অস্ত্র ব্যবহারের’ জন্য দ্বিতীয়বার শাস্তি বাড়ানো যাবে?
নতুন সংশোধনীতে এ বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। যদি কোনো হামলায় বিপজ্জনক অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার উদ্দেশ্য থাকে, তবে বেস অফেন্স লেভেল (অপরাধের সর্বনিম্ন মাত্রা) এবং অস্ত্র ব্যবহারের জন্য বাড়তি শাস্তি, উভয়ই প্রযোজ্য হবে।
আরও পড়ুন:
এ সংশোধনী কেবল বিচারকদের মধ্যে থাকা মতপার্থক্য দূর করেনি, বরং এটি নিশ্চিত করেছে যে, শারীরিক আঘাতের উদ্দেশে যেকোনো বস্তুর ব্যবহারকে এখন থেকে আরও কঠোরভাবে দেখা হবে। এ পরিবর্তনের ফলে আপাতদৃষ্টিতে ‘কম অপরাধ’ মনে হওয়া ডিম ছোড়ার মতো ঘটনাও পরিস্থিতিভেদে গুরুতর হিসেবে গণ্য হতে পারে, যদি তা শারীরিক আঘাতের কারণ হয় বা বিপজ্জনক বস্তু দিয়ে করা হয়। ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের আইনি পরিণতি আরও কঠিন হতে পারে।





